সিলেটের জন্য দিনটি ছিল বিশেষ, কারণ তারা তাদের ঘরের মাঠ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শিরোপা জয় করল। এর আগে, বরিশালকে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৪২ রানে অলআউট করে সিলেট ম্যাচে জয় লাভ করে। ওই জয়ের পর, সিলেটকে ১০৫ রানের লক্ষ্য দেওয়া হয়েছিল। সিলেটের ব্যাটিংয়ের সুযোগ না হলেও, তাদের সামনে ছিল ছোট্ট লক্ষ্য, যা তারা মাত্র পাঁচ উইকেট হারিয়ে প্রথম সেশনেই পেরিয়ে যায়।
শিরোপা নিশ্চিত করার পথে সিলেটের কাছে একটি সুযোগ ছিল রংপুরের ম্যাচের ফলাফল। রংপুর যদি ঢাকা মহানগরের বিরুদ্ধে জয় পেত, তবে সিলেটকে আরও একটি ম্যাচ অপেক্ষা করতে হতো শিরোপা নিশ্চিত করার জন্য। কিন্তু রংপুরের ম্যাচটি ড্র হওয়ার পর সিলেটের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায়। রংপুর ১৭৪ রানে এগিয়ে থাকলেও ঢাকা মহানগর দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছে। এর মানে, ম্যাচটি ড্র হবে, আর সিলেট চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে।
আজ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য মাঠে নামার পর, সিলেটের ব্যাটসম্যানরা কিছুটা চাপের মধ্যে ছিলেন। প্রথম ৭ রানের মধ্যে তাদের তিন ব্যাটসম্যান ফিরে যান। ওপেনার তৌফিক খান, ওয়ানডাউনে নামা মুবিন আহমেদ এবং অন্য ওপেনার পিনাক ঘোষ রান করতে পারেননি। এরপর, অধিনায়ক অমিত হাসান এবং নাসুম আহমেদ একটি শক্তিশালী পার্টনারশিপ গড়েন, ৭৭ রানের জুটি তৈরী করে দলের রান ১০৪ পর্যন্ত নিয়ে যান।
শেষ মুহূর্তে অমিত হাসান তড়িঘড়ি করে এক রান নিয়ে সিলেটের শিরোপা নিশ্চিত করেন। অমিত ছিলেন ৩৮ রানে অপরাজিত, এবং তার নেতৃত্বে সিলেট চ্যাম্পিয়ন হয়ে ওঠে।
সিলেটের পয়েন্ট দাঁড়াল ৩৭, যা তাদের তৃতীয় জয় শেষে এসেছে। ঢাকা বিভাগের পয়েন্ট ২৪, খুলনা বিভাগের ২২। রংপুর-ঢাকা মহানগরের ম্যাচ ড্র হলে রংপুরের পয়েন্ট হবে ২৩, মহানগরের ২১। আর রাজশাহী ও বরিশালের পয়েন্ট থাকবে যথাক্রমে ১০ এবং ৪।
এই শিরোপা সিলেটের ক্রিকেট ইতিহাসে একটি নতুন মাইলফলক, যা দলটির জন্য এক অবিস্মরণীয় অর্জন।