হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কারবি জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রায় সম্পন্ন হতে চলেছে, তবে কোনো কিছু চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। ফরাসি প্রেসিডেন্টের দপ্তরও এই যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অগ্রগতি ঘটেছে বলে উল্লেখ করেছে। একই সময়, ইসরায়েলের সরকারী কর্মকর্তারা জানান, যুদ্ধবিরতির খসড়া অনুমোদন করতে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা আজ বৈঠকে বসবে।
যুদ্ধবিরতির আলোচনা নিয়ে রয়টার্সের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, তবে তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। জাতিসংঘে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন বলেন, যেকোনো চুক্তির অধীনে ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননে হামলা চালানোর সক্ষমতা বজায় রাখবে, যা লেবাননের পক্ষ থেকে খসড়া চুক্তির কিছু ধারায় আপত্তি জানানো হয়েছিল।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার জানিয়েছেন, ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির খসড়ার বিষয়ে মতপার্থক্য অনেকটাই কমে এসেছে। তবে চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য এখনো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় আগ্রাসন শুরু করলে, হিজবুল্লাহ হামাসের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সংঘাতে জড়ায়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠে, এবং ইসরায়েল লেবাননে স্থল অভিযান চালিয়ে হিজবুল্লাহর বেশ কিছু শীর্ষ নেতা হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে ছিল হিজবুল্লাহর প্রতিষ্ঠাতা এবং সংগঠনের প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ।
সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল, যা এখন হিজবুল্লাহর বিবেচনায় রয়েছে। এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি একটি দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।
লেবাননের পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার ইলিয়াস বওউ সাব বলেন, যদি নেতানিয়াহুর মনোভাব পরিবর্তন না হয়, তবে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে আর কোনো বড় বাধা থাকবে না।