পুলিশ কর্মকর্তা ছালেহ উদ্দিন বলেন, হামলাকারীরা ছাত্রবেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে কলেজের মালামাল লুটপাট করেছে। এই হামলা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ছিল, যার ফলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে এবং মামলার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলাকারীরা যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা এলাকা দিয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে আসার সময় তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়, তবে তারা তাতে তোয়াক্কা না করে হামলা চালিয়ে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। উপকমিশনার ছালেহ উদ্দিন জানান, এই ঘটনায় কিছু স্বার্থান্বেষী মহল জড়িত থাকতে পারে, এবং এমন ঘটনা আর ঘটতে দেওয়া হবে না। তিনি স্থানীয় জনগণের সহায়তা কামনা করেছেন, যাতে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা যায়।
হামলার ঘটনা ঠেকাতে পুলিশ কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর ওই এলাকায় পুলিশের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ ছিল, তবে বর্তমানে নতুন পুলিশ সদস্যরা নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এবং তারা অনেক সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। পুলিশ সদস্যদের সংখ্যা এখনও পর্যাপ্ত নয়, তাই আইনশৃঙ্খলা উন্নত করার জন্য এলাকাবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন।
পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, হামলাকারীরা যদি লুটপাটের মালামাল কারও বাসায় রেখেছে, তবে গোপনে তথ্য দেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। আইনি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় সবার সহায়তা কামনা করেছেন, যাতে এই ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান সম্ভব হয়।
এ ঘটনার পর কলেজের সামনে সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল ১২টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। একপর্যায়ে কলেজে থাকা শিক্ষার্থীরা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন, যাদের বেশ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল, এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু এবং চিকিৎসায় অবহেলার প্রতিবাদে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে, যা আজকের হামলার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।