রাজশাহীর হতাশাজনক পরাজয়
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে রাজশাহীর পরাজয় গতকালই প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। প্রথম দিন রাজশাহী প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জাতীয় লিগে তাদের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর ৪২ রানে অলআউট হয়। ঢাকার সুমন খান হ্যাটট্রিকসহ ৭ উইকেট নিয়েছেন। এর পরে ঢাকার ব্যাটিংও ভালো না হলেও, যা ছিল তা ইনিংস জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল।
ঢাকার জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন জিশান আলম (৪৪) এবং রনি তালুকদার (৪০)। ঢাকা তাদের প্রথম ইনিংসে ১৮১ রান করে। রাজশাহী তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৯ রানের পেছনে থেকেও আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ঢাকা পেসার এনামুল হক ৫ উইকেট শিকার করে রাজশাহীকে ১২৮ রানে অলআউট করে দেয়। শেষ পর্যন্ত ঢাকা ইনিংস ও ১১ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। ম্যাচসেরা হন সুমন খান।
সিলেটের রেজাউর রহমানের দারুণ বোলিং
ইমার্জিং এশিয়া কাপ থেকে ফেরার পর সিলেট বিভাগের পেসার রেজাউর রহমান জাতীয় লিগে দারুণ ফর্মে রয়েছেন। এ পর্যন্ত ৩টি ম্যাচের ৬ ইনিংসের মধ্যে ৫ ইনিংসে তিনি ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। ষষ্ঠ রাউন্ডে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে ৫ উইকেট নেন তিনি, যা ছিল তার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তৃতীয় ৫ উইকেট। রেজাউর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বরিশালের ইনিংস ৩০৪ রানে থেমে যায়। সিলেট তাদের ইনিংস শুরু করে ৬ উইকেটে ২১৭ রান করে। মুবিন আহমেদ ৫৩ রান করেন, সিলেটের অধিনায়ক অমিত হাসান ৫৬ রান করেন এবং নাসুম আহমেদ ৫৩ রান করে আউট হন।
খুলনা ও চট্টগ্রামের ম্যাচ
খুলনা ও চট্টগ্রামের ম্যাচে খুলনা দ্বিতীয় দিন শেষে ৪০ রানে এগিয়ে ছিল। প্রথম দিনে খুলনা ২০৪ রানে অলআউট হয়। সেখানে চট্টগ্রামের ওপেনার পারভেজ হোসেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের ২৫তম ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন, ১৩৯ বল খেলে ১০৭ রান করেন। খুলনার পেসার মেহেদী হাসান রানা ৫ উইকেট নেন, আর মাসুম খান ৪ উইকেট শিকার করেন। শেষ পর্যন্ত খুলনা ১ উইকেটে ৫৬ রান সংগ্রহ করে।
ঢাকায় রংপুর ও ঢাকা মহানগর ম্যাচ
ঢাকা মহানগর ও রংপুর বিভাগের ম্যাচে ঢাকা মহানগরের ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম প্রথম দিন ১৫৩ রানে খেলছিলেন। তার পরের দিন তিনি ক্যারিয়ারসেরা ১৮০ রানে আউট হন। এরপর ঢাকার লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দলটি ৪৭৫ রান সংগ্রহ করে। রংপুরের শুরুটা ভালো না হলেও, অধিনায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন ও নাঈম ইসলাম দলের রানে কিছুটা উন্নতি আনেন। দিনশেষে ঢাকা মহানগর এগিয়ে ছিল ৪৪৩ রানে।