আইপিএলের ইতিহাসে কিছু খেলোয়াড়দের দল বদলানোর গল্প অনেকটাই আলাদা। ভারতের ক্রিকেটের সেরা কিছু তারকা যেমন বিরাট কোহলি, একমাত্র নিজের প্রিয় দল, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে চলেছেন। ২০০৮ থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত তিনি একই দলের হয়ে খেলছেন, যার সাথে তাঁর সম্পর্ক যেন এক অটুট বন্ধন। যদিও আইপিএলে এখনও পর্যন্ত শিরোপা জেতা হয়নি কোহলির, কিন্তু বেঙ্গালুরুর হয়ে তাঁর অবদান অমূল্য।
তবে, সকলেই কোহলি নয়, যারা এক বা একাধিকবার দল বদলেছেন। কিছু খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে তো তারা বিভিন্ন দলেই খেলার মাধ্যমে আইপিএলের অধিকাংশ ফ্র্যাঞ্চাইজির অংশ হয়ে গেছেন। এই তালিকায় সবচেয়ে শীর্ষে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চ। ২০০৯-১০ মৌসুমে আইপিএলে তার যাত্রা শুরু হয় রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে। এরপর বিভিন্ন মৌসুমে ফিঞ্চ খেলেছেন দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, পুনে ওয়ারিয়র্স, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, গুজরাট লায়নস, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে। ২০২২ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সে তার আইপিএল ক্যারিয়ারের শেষ মৌসুম ছিল। মোট ১১টি মৌসুমে তিনি খেলেছেন ৯টি ভিন্ন ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে, যা আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি।
ফিঞ্চের পরের নামটি হয়তো অনেকের কাছে অবাক করতে পারে—ভারতের সাবেক পেসার জয়দেব উনাদকাত। ২০১০ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু করা উনাদকাত এখন পর্যন্ত ৮টি দলের হয়ে খেলেছেন। বর্তমান সময়েও তিনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের স্কোয়াডে আছেন। যদিও তিনি মূলত রিজার্ভ বোলার হিসেবে খেলেন, তার উপস্থিতি অনেক সময় দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়ায়।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে মনীশ পান্ডে, যিনি ২০০৯ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে আইপিএলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এরপর তিনি বিভিন্ন দলে যেমন ডেকান চার্জার্স, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, কলকাতা নাইট রাইডার্সের মতো শীর্ষ দলের অংশ হয়েছেন। এক সময় তার দামও ছিল বেশ উচ্চমানের, ২০১৮ সালে তাকে ১১ কোটি রুপিতে কিনেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
এছাড়া, কিছু খেলোয়াড় রয়েছেন যারা ৬টি ভিন্ন ভিন্ন দল খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এর মধ্যে যুবরাজ সিং, দীনেশ কার্তিক, বরুন অরুন, ঈশান্ত শর্মা, মুরুগান অশ্বিন এবং ইরফান পাঠান উল্লেখযোগ্য। আইপিএল ইতিহাসে এই খেলোয়াড়রা বিভিন্ন দলে যোগ দিয়ে তাদের ক্যারিয়ার আরও সমৃদ্ধ করেছেন।
আইপিএল একটি এমন মঞ্চ, যেখানে নানা ধরনের খেলোয়াড় তাদের ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন, কখনো বা দল বদলানোর মাধ্যমে নতুন সুযোগ পেয়ে নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শন করেন। এটি যেন একটি চলমান ক্রীড়া থিয়েটার, যেখানে প্রতিটি খেলোয়াড়ের দল বদল, তার খেলার ধরন এবং পারফরম্যান্স কিছু নতুন গল্প তৈরি করে।
https://slotbet.online/