বায়ু দূষণ পরিমাপের ক্ষেত্রে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা বাতাসের মানের রিয়েল-টাইম সূচক সরবরাহ করে, যা প্রতিটি শহরের বায়ু কতটা পরিষ্কার বা দূষিত, তা জানিয়ে দেয়। এই সূচক মানুষকে সতর্ক করে এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত রাখে।
ঢাকার বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ হলো যানবাহন এবং কলকারখানাগুলির থেকে বের হওয়া দূষিত ধোঁয়া। যদিও আজ ছুটির দিনে শহরের রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা কম, এবং অনেক কলকারখানাও বন্ধ রয়েছে, তবুও দূষণ কমেনি। এই পরিস্থিতি দেখাচ্ছে যে শুধু যানবাহন এবং কলকারখানা নয়, আরও কিছু কারণও বায়ু দূষণের জন্য দায়ী।
আজ সকালে বায়ু দূষণের শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি, যার স্কোর ছিল ৪৮১। দ্বিতীয় অবস্থানে পাকিস্তানের লাহোর, যেখানে স্কোর ছিল ৩৫২। তবে, ঢাকার বায়ু আজ অস্বাস্থ্যকর এবং এটি যে কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, তা মনে রাখা জরুরি। বিশেষভাবে, ঢাকা ও তার আশপাশের তিনটি এলাকায় দূষণের মাত্রা বেশি ছিল—আগা খান একাডেমি, গুলশান-২-এর রব ভবন এবং ইস্টার্ন হাউজিং-২।
ঢাকার বায়ু দূষণের প্রধান উপাদান হল অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা, যা পিএম ২.৫ নামে পরিচিত। আজ ঢাকা শহরের বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মানের চেয়ে ৩৩ শতাংশ বেশি। এটি মানুষের শ্বাসতন্ত্রের জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর হতে পারে, এবং স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।