• বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন

নেত্রকোনায় বিএনপির শোকমিছিলে হামলার আট বছর পর মামলা

Reporter Name / ৩৭ Time View
Update : শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় বিএনপির শোকমিছিলে ও দলীয় কার্যালয়ে হামলার ঘটনার আট বছর পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলা গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দুয়া পৌর শহরের বাদে আঠারবাড়ী এলাকার জামাল উদ্দিন নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের আওতায় দায়ের করেছেন। মামলায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা, কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. আসাদুল হক ভূঁইয়াসহ ৫৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার প্রধান আসামি হিসাবে আসাদুল হক ভূঁইয়া এবং তার সাথে কেন্দুয়া থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল কাদিরকেও আসামি করা হয়েছে। বাকি ৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে মামলায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

স্থানীয় বিএনপি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি কেন্দুয়ায় শোকমিছিল বের করেছিল। মিছিলটি পৌর শহরের জয় হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের কাছে পৌঁছালে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা হামলা করেন। এই হামলার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়ে তার ফটক বন্ধ করে দেন, কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ফটক ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালান। এ সময় সেখানে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে। হামলার সময় আওয়ামী লীগ নেতারা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. রফিকুল ইসলাম হিলালীর জামার কলার ধরে তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দেন।

এই ঘটনার পর জামাল উদ্দিন নামে একজন গাড়িচালক, যিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যকরী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. রফিকুল ইসলামের গাড়িচালক ছিলেন, গতকাল নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন।

এ পর্যন্ত নেত্রকোনার বিভিন্ন থানায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৪০টি মামলা দায়ের হয়েছে। জামাল উদ্দিন বলেন, ‘সেদিন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিল, তবে পরিস্থিতি অনুকূল না হওয়ায় সে সময় আইনের আশ্রয় নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এখন আমি আশা করছি সুবিচার পাব।’

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং প্রধান আসামি আসাদুল হক ভূঁইয়া ইতোমধ্যে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।


More News Of This Category
https://slotbet.online/