রুশ বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনের একটি গ্রাম দখল করেছে, যা তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি অনুযায়ী, ডালনে নামক গ্রামটি, যা দোনেৎস্ক অঞ্চলে অবস্থিত, গত বৃহস্পতিবার রুশ সেনার নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। যদিও ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এখনও এই তথ্য নিশ্চিত করেনি, তবে কিছু সামরিক ব্লগে বলা হয়েছে, রাশিয়া ইতিমধ্যেই গ্রামটির ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে এবং সেখানে তাদের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
এই ঘটনা ঘটেছে প্রায় ৩৩ মাস ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে, যেখানে রাশিয়া ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সিস্টেম ভেঙে ফেলার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। রাশিয়ার এই সামরিক অগ্রগতি পশ্চিমা বিশ্বের জন্য এক ধরনের সতর্কবার্তা হিসেবে দাঁড়াচ্ছে। তবে, ইউক্রেনের সামরিক ব্লগ "ডিপস্টেট" জানাচ্ছে যে, গ্রামটির দখল রাশিয়ার জন্য একটি বড় বিজয় হতে পারে। যদিও রয়টার্স বা অন্য কোনো আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা কোনো পক্ষের দাবি সঠিকভাবে যাচাই করতে সক্ষম হয়নি।
এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের পশ্চিমী মিত্রদের প্রতি একটি সতর্কবার্তা দিয়েছেন, যা আরও বেশি আন্তর্জাতিক উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। পুতিন জানিয়ে দিয়েছেন, এই সংঘাত শুধু ইউক্রেনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং এর বৈশ্বিক প্রভাব রয়েছে। তিনি বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের পশ্চিমী সহযোগী দেশগুলোর বিরুদ্ধে হামলা চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করছেন না। এটি বিশেষ করে ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তাদের পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে আরো অস্ত্র সরবরাহের কারণে।
একটি নতুন রুশ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর পুতিন এসব মন্তব্য করেছেন। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় নিপ্রো শহরে গতকাল রাশিয়া একটি নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেছে, যার সম্পর্কে ইউক্রেন দাবি করেছে যে এটি একটি আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। তবে রাশিয়া পরে জানিয়েছে যে এটি একটি নতুন প্রজন্মের মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছিল, যা প্রায় ৫,৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত করতে সক্ষম।
পুতিন আবারও পশ্চিমা মিত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন, যেসব দেশ তাদের অস্ত্র রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে হামলায় ব্যবহারের অনুমতি দেয়, রাশিয়া সেসব দেশের বিরুদ্ধে নিজেদের অস্ত্র ব্যবহারের অধিকার রাখে। এই ধরনের মন্তব্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে যখন ইউক্রেন পশ্চিমা সাহায্যের মাধ্যমে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে থাকে।