শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরেই এই দুটি হলের নাম পরিবর্তন করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তারা যুক্তি দেন যে, এসব হলের বর্তমান নাম দেশ ও জনগণের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে না। বিশেষত শেখ হাসিনার নাম যুক্ত হলটির বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল যে, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় অনেক শিক্ষার্থী নিহত হলেও তাদের সংগ্রামের সম্মানিত করার জন্য এই হলের নাম পরিবর্তন করা প্রয়োজন। নতুন নামকরণে ‘সুনীতি’ এবং ‘শান্তি’ নাম দুটি প্রস্তাবিত হয়, যা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী দুই বিপ্লবীর নামে করা হয়েছে।
এছাড়া, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত ক্যাম্পাসে নির্মাণাধীন হলের নামকরণ করা হয়েছে শহীদ আবদুল কাইয়ুম হল। কাইয়ুম ২০২০ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। শিক্ষার্থীদের এই নামকরণ প্রস্তাবের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি মেনে নিয়ে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আন্দোলন এবং তাঁদের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এসব নামকরণ করা হয়েছে, যা বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সম্মানজনক সিদ্ধান্ত হিসেবে গ্রহণ করা হচ্ছে।