অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, "মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের স্বপ্ন ছিল একটি বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত এবং কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠন, আমরা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই, যেখানে জনগণই হবে সব ক্ষমতার মূল মালিক।"
তিনি এসব কথা আজ রাজধানীর সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে জানান। ড. ইউনূস আরও বলেন, "এই নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে আমাদের দায়িত্ব হলো, দেশবাসীকে এক বৃহত্তর পরিবারের মতো সংযুক্ত করা, যেখানে কেউ কারও উপরে নয়, বা নিচে নয়।"
অধ্যাপক ইউনূস, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে বন্ধুত্ব, সম্মান এবং সহযোগিতার ভিত্তিতে দেশকে একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং বৈশ্বিক শান্তির প্রচারেও বাংলাদেশের ভূমিকা রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস স্মরণ করে বলেন, "১৯৭১ সালে বাঙালি জনগণ তাদের আত্মমর্যাদা রক্ষার জন্য যুদ্ধের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর ঐক্য এবং জনগণের সাহসী ভূমিকা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ভিত গড়ে তোলে।"
ড. ইউনূস তাঁর বক্তব্যে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, "বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান কখনো ভুলে যাওয়ার নয়। তাদের কল্যাণে সরকারি উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে, এবং তাদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা থাকবে চিরকাল।"
প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করে বলেন, "আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে আগামী দিনের জন্য একটি সমৃদ্ধশালী এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার শপথ নিয়েছি।"