প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ২৩, ২০২৫, ৬:৫১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ২১, ২০২৪, ১০:৫৪ এ.এম
হিমাগারে অপর্যাপ্ত তদারকি ফলে আলুর মূল্য বৃদ্ধি।
রংপুরে আলুর দাম বাড়ানোর জন্য হিমাগার পর্যায়ে যথাযথ তদারকির অভাব দায়ী হয়ে উঠেছে। ব্যবসায়ীরা গত মার্চে চাষিদের কাছ থেকে ২৩ টাকা কেজি দরে আলু কিনে তা হিমাগারে মজুত করেন। তবে পরিবহন, শ্রমিক খরচ এবং হিমাগারের ভাড়াসহ মোট খরচ পড়ে ৩১ টাকা ১০ পয়সা প্রতি কেজি, যার পরও তা খুচরা বাজারে ৭০–৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই আলু হিমাগারে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক, কৃষি কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন যে, অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, বিশেষ করে আলু মজুতকারীরা দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণে প্রশাসন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না। ব্যবসায়ীরা হিমাগারে আলু মজুত রেখে দাম বাড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে, আর এতে সাধারণ ক্রেতাদের জন্য সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
রংপুর জেলা প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও, আলুর দাম বাড়ানোর পিছনে ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা ও সিন্ডিকেটের ভূমিকা স্পষ্ট হচ্ছে। কৃষকরা অভিযোগ করেছেন যে, তারা উৎপাদিত আলু কিনতে পারছেন না, কারণ দাম অতিরিক্ত বেড়ে গেছে।
এছাড়া, হিমাগারে আলুর মজুত কমে যাওয়ার কারণে দাম আরও চড়া হয়ে উঠছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলু মজুত করে তারা অতিরিক্ত লাভে বিক্রি করছেন, তবে কৃষকরা ক্ষতির মধ্যে আছেন। রংপুরের আলুচাষিরা এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন।
Copyright © 2025 Prime Vision 24. All rights reserved.