• শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন

কনস্টেবল নিয়োগে দুর্নীতি, দুদকের মামলায় মাদারীপুরের সাবেক এসপি কারাগারে

Reporter Name / ৪০ Time View
Update : বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪

মাদারীপুরে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) সুব্রত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে মামলার রায় আসছে। গত বুধবার, মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত তার জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত এ সময় সাবেক এসপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখেন এবং জামিন না মঞ্জুর করার সিদ্ধান্ত নেন।

এ মামলার পটভূমি ২০১৯ সালের। পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের জন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০১৯ সালের মে মাসে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে এবং পরে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

তদন্তে উঠে আসে, সুব্রত কুমার হালদারের নেতৃত্বে একটি চক্র চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের ঘুষ নিয়েছিল। এ সময় ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়, যা আসামিরা বিভিন্ন চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে নিয়েছিল। এছাড়া, পরীক্ষার উত্তরপত্রে বিশেষ ধরনের চিহ্ন দেওয়া হয়েছিল, যাতে কিছু নির্দিষ্ট পরীক্ষার্থী পাস করতে পারে। এসব পরীক্ষার ফলাফলের পর থেকেই অভিযুক্ত চক্রটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়।

মামলায় সুব্রত কুমার হালদারের সঙ্গে আরও চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন সাবেক কনস্টেবল নুরুজ্জামান, জাহিদুল ইসলাম, সাবেক উপপরিদর্শক গোলাম রহমান এবং পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিকেল সহকারী পিয়াস বালা। অভিযোগে বলা হয়, সুব্রত কুমার হালদারের নির্দেশনায় এসব কাজ হয়ে থাকে।

এ বিষয়ে দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আকতারুজ্জামান বলেন, সাবেক এসপি সুব্রত কুমার হালদার উচ্চ আদালত থেকে তিন মাসের জামিনে ছিলেন। তবে বুধবার তিনি স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে এবং আদালত তা বিচার বিবেচনায় নিয়ে জামিন না দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

এই দুর্নীতি মামলার পর, আইনজীবী আনিসুর রহমান জানান, সুব্রত কুমারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সব প্রমাণই দুদক পেশ করেছে এবং আদালত সেই প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে সরকারের এবং দুদকের ন্যায়বিচারের বিষয়টি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এভাবে, একের পর এক প্রমাণ উঠে আসার পর সাবেক এসপি এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং তারা শাস্তির মুখে পড়েছেন।


More News Of This Category
https://slotbet.online/