বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর নির্ধারণ করে একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৮ নভেম্বর রাতে এই অধ্যাদেশটি প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশিত হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত এবং সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য পাবলিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি দেশের সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে প্রণীত এবং অবিলম্বে কার্যকর হবে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানসিয়াল করপোরেশন ও স্বশাসিত সংস্থাগুলোর চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা প্রয়োজনীয়।’’ সরকারের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকল ক্ষেত্রে ৩০ বছর বা অনূর্ধ্ব ৩২ বছর বয়সসীমা পরিবর্তন করে সর্বোচ্চ ৩২ বছর করা হয়েছে।
তবে, প্রতিরক্ষা বিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাকরি নিয়োগ বিধি আগের মতোই বহাল থাকবে। এই অধ্যাদেশের আওতায় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সব ক্যাডারের চাকরিতে ৩২ বছরের বেশি বয়সী প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না।
এছাড়া, প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, যদি এই অধ্যাদেশের প্রয়োগে কোনো অস্পষ্টতা বা সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে গেজেট প্রকাশ করে তা নিরসন করা হবে।
এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করে নতুন অধ্যাদেশ কার্যকর হওয়ায় চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একটি বড় পরিবর্তন আসবে।
https://slotbet.online/