স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মুমিন ওই সময় কানাইঘাট পৌর সদরের বাজার এলাকায় ছিলেন। সেখানে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন, তবে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সুবল চন্দ্র বর্মণ জানান, মুমিনের পেটের নিচের ডান পাশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল এবং তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। মৃত্যুর সময় তার শরীরে গুরুতর আঘাতের লক্ষণ ছিল। মৃত্যুর সময় তার বয়স ২৯ বছর ছিল এবং হাসপাতালে তাকে ‘মো. মুমিন সরকার’ নামে নথিভুক্ত করা হয়।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আউয়াল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হামলাকারীকে চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছে। তিনি বলেন, “ময়নাতদন্তের জন্য মুমিনের মরদেহ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।”
এই ঘটনা কানাইঘাটের স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। হামলার কারণ হিসেবে পূর্ব বিরোধের কথা শোনা যাচ্ছে, তবে পুলিশ আরও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ঘটনার পর থেকে কানাইঘাট এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।