ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ জানিয়েছেন, এস আলম গ্রুপের শেয়ার বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী করার পরিকল্পনা রয়েছে। এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংকের ১৭টি শাখা থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে এবং ব্যাংকের আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও অবনতি ঘটিয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে পুরনো উদ্যোক্তা আল রাজি গ্রুপকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ব্যাংকগুলোকে রক্ষা করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব। তিনি জানান, অনিয়মের মাধ্যমে টাকা নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আলাদা পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ইসলামী ব্যাংক গত তিন মাসে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা আমানত বৃদ্ধি করেছে। প্রবাসী আয়ও বেড়েছে, তবে নতুন বিনিয়োগ এখনও বন্ধ রয়েছে। ব্যাংকটির ২,৭০০ এজেন্ট পয়েন্টে তিনজন করে নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। এ পদক্ষেপে ব্যাংকের আমানত বাড়ানো সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের মালিকানা পরিবর্তন হওয়ার পর বিদেশি শেয়ারহোল্ডাররা তাদের শেয়ার বিক্রি করেছেন। এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর বিদেশি শেয়ারহোল্ডারদের সংখ্যা কমে গেছে। ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার বিক্রি ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডিং কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির পর ব্যাংকের আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হতে পারে। তবে এই পদক্ষেপ ব্যাংকটির স্থিতিশীলতা বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।