প্রথমত, নিউজিল্যান্ডের ভিসা প্রক্রিয়া অনেক সহজ এবং দ্রুত। যদিও ২০২৩ সালে ভিসা ফি কিছুটা বাড়ানো হয়েছে, তারপরও এটি অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় অনেক কম। স্টুডেন্ট ভিসার জন্য গড় সময় মাত্র ৩১ কার্যদিবস, যা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুবিধা।
দ্বিতীয়ত, নিউজিল্যান্ডে জীবনযাত্রার খরচ অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় অনেক কম। গড়ে, দেশে বসবাসের খরচ ১,২০০ থেকে ১,৬০০ নিউজিল্যান্ড ডলারের মধ্যে থাকে, যা শহরভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। অকল্যান্ড এবং ওয়েলিংটনের মতো শহরগুলোর খরচ একটু বেশি হলেও, বিশ্বব্যাপী শহরের তুলনায় এটি তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী।
নিউজিল্যান্ডের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান করলেও, তাদের টিউশন ফি অন্য জনপ্রিয় গন্তব্যের তুলনায় অনেক কম। দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ডিগ্রি অফার করে, যা শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক কর্মসংস্থানে সুযোগ প্রদান করে।
নিউজিল্যান্ডে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু বৃত্তি এবং অর্থনৈতিক সহায়তা রয়েছে, যা তাদের পড়াশোনার খরচ কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে, ছাত্ররা কম খরচে মানসম্পন্ন শিক্ষা অর্জন করতে পারেন।
দেশটি গবেষণা এবং উদ্ভাবনে বিশেষত কৃষি, বায়োটেকনোলজি, পরিবেশবিজ্ঞান, এবং অন্যান্য নতুন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বেশ অগ্রগামী। এতে শিক্ষার্থীরা আধুনিক গবেষণায় অংশ নিয়ে তাদের দক্ষতা বাড়াতে পারেন।
নিউজিল্যান্ডে পড়াশোনা শেষে শিক্ষার্থীরা তিন বছর পর্যন্ত সেখানে থাকতে এবং কাজ করতে পারেন। এই সুযোগটি তাদের কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন এবং ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করে।
এছাড়া, নিউজিল্যান্ড নিরাপদ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশের জন্য পরিচিত, যা বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এক অতিরিক্ত সুবিধা। দেশটি শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের অংশ হতে উৎসাহিত করে।
অবশেষে, সহজ ভিসা প্রক্রিয়া, কম খরচে শিক্ষা এবং নিরাপদ পরিবেশের কারণে নিউজিল্যান্ড উচ্চশিক্ষার জন্য একটি আকর্ষণীয় এবং কার্যকর বিকল্প হতে পারে। যারা অস্ট্রেলিয়ায় পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন না, তারা নিশ্চিন্তে নিউজিল্যান্ডকে তাদের পরবর্তী গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন।