চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৫ নিয়ে দ্বন্দ্ব ক্রমেই বাড়ছে। ভারতের ঘোষণা অনুযায়ী তারা পাকিস্তানে গিয়ে খেলবে না, আর পাকিস্তানও ভারতের প্রস্তাবিত ‘হাইব্রিড মডেল’ মেনে নিতে নারাজ। দুই দেশের মধ্যে এই টানাপোড়েনে ইভেন্ট আয়োজন নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্পোর্টস তাক জানিয়েছে, পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন সম্ভব না হলে ভারত নিজেই এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে পারে। যদিও পাকিস্তান প্রথম থেকেই এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে আগ্রহী এবং ১৯৯৬ সালের পর এই প্রথমবার কোনো আইসিসি ইভেন্টের আয়োজন করতে চলেছে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাব খেলাধুলায়ও পড়ছে। ২০০৮ সালের পর থেকে ভারত কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজে পাকিস্তানে খেলেনি। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশ পাকিস্তানে নিরাপদে খেলেছে। এ অবস্থায় ভারতের অনাগ্রহে পাকিস্তান সরকার কঠোর অবস্থান নিতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জানিয়েছে, তারা ভারতের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে কোনো ম্যাচ খেলবে না এবং ভারতেও দল পাঠাবে না। ২০২৫ থেকে ২০৩১ সালের মধ্যে ভারতে আইসিসির চারটি বড় ইভেন্ট রয়েছে। পিসিবি যদি এ সিদ্ধান্তে অটল থাকে, তবে বিশ্ব ক্রিকেটে বড় সংকট তৈরি হতে পারে।
পাকিস্তান থেকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নাম শোনা গিয়েছিল। তবে সাংঘর্ষিক সূচির কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ভারতের নাম সম্ভাব্য আয়োজক হিসেবে উঠে এসেছে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পাকিস্তানে না হলে দেশটির বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। অনুমান করা হচ্ছে, এই আয়োজনে ব্যর্থ হলে পাকিস্তানের ক্ষতি হবে প্রায় ৫৪৮ কোটি ৬১ লাখ রুপি।
গত এশিয়া কাপে ভারতের অনাগ্রহের কারণে ম্যাচগুলোর আয়োজন পাকিস্তানের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কায়ও করতে হয়। তবে এরপর পাকিস্তান দল ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান আশা করেছিল যে ভারত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য তাদের দেশে আসবে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৫ কি পাকিস্তানে আয়োজিত হবে, নাকি আয়োজক দেশ পরিবর্তন হবে—তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। সময়ের সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা কীভাবে এগোয়, সেটিই দেখার বিষয়।