ঘটনা কিভাবে ঘটেছিল?
গতকাল বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে লতিফা বেগম রেললাইনে শুয়ে পড়েন। তখন কর্ণফুলী মেইল ট্রেনটি স্টেশনে প্রবেশ করছিল। লোকোমাস্টার (ট্রেনের চালক) হঠাৎ হার্ড ব্রেক কষে ট্রেন থামান। এতে ট্রেনটি দ্বিতীয় বগির নিচে থাকা অবস্থায় পুরোপুরি থেমে যায় এবং ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর ইঞ্জিন সচল হলে ট্রেনটি আবার যাত্রা শুরু করে। এ সময় অসংখ্য যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।
আত্মহত্যার কারণ
জীবনের কষ্টকর পরিস্থিতি থেকেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন লতিফা বেগম। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। স্বামীও অসুস্থ এবং বিছানায় শুয়ে আছেন। তাঁদের একমাত্র ছেলে স্থানীয় একটি টেক্সটাইল মিলে শ্রমিকের কাজ করেন, যার বেতনের অর্ধেকই তাঁদের চিকিৎসা খরচে ব্যয় হয়। এ অবস্থায় আর্থিক সংকটের কারণে হতাশ হয়ে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে চেয়েছিলেন।
রেলওয়ে পুলিশের ভূমিকা
নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, ট্রেনের চালকের দ্রুত প্রতিক্রিয়ার কারণে লতিফা বেগমের জীবন রক্ষা পায়। সৌভাগ্যক্রমে কোনো আঘাত না পাওয়ায় তাঁকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই ঘটনার মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে বৃদ্ধা লতিফা বেগমের জীবনের আর্থিক দুর্দশার গল্প, যা সমাজের অনেকের জীবনের প্রতিচ্ছবি।