পোশাকশ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বজনীন পেনশন–ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা করেছে সরকার। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আজ বুধবার এই ঘোষণা দিয়েছেন। টঙ্গীর পাগাড় এলাকায় অবস্থিত জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিকস লিমিটেড কারখানায় ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮৩ থেকে ৮৪ শতাংশ আসে পোশাকশিল্প থেকে, যা শ্রমিকদের মেহনতি পরিশ্রমের ফল। যদিও অন্যান্য সেক্টরে কর্মসংস্থানের পর সামাজিক নিরাপত্তা এবং পেনশন সুবিধা রয়েছে, তবে গার্মেন্টস সেক্টরের শ্রমিকেরা এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এই শিল্পের শ্রমিকরা ৮ থেকে ১০ বছর কাজ করার পর কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন এবং তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। তাই শ্রমিকদের জন্য পেনশন স্কিম চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এটি বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে, তবে এই উদ্যোগ শুরু করে দেওয়া হবে।”
অনুষ্ঠানে শ্রমিকদের সুবিধার্থে ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রথম ধাপে এক হাজার শ্রমিককে পণ্য বিতরণ করা হয় এবং পরে আরও ১৩ হাজার শ্রমিককে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। এই প্যাকেজে ৪৭০ টাকায় ৫ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, এবং ২ লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহ করা হবে। তবে সরবরাহ কম থাকায় প্যাকেজে চিনি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, “দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আমরা দায়িত্বে এসেছি এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি। শ্রমিকেরা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। তাদের দাবিদাওয়া পূরণের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চলছে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, এবং টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা ইকবাল।
এই পেনশন উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পোশাকশিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের জীবনমান উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার, যা ভবিষ্যতে শ্রমিকদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
https://slotbet.online/