পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম (৪২) তাঁর স্ত্রী ও একমাত্র মেয়ে মারিয়াকে নিয়ে নির্ভয়পুর আদর্শ গ্রামে বসবাস করতেন। রবিবার বিকেলে স্থানীয়রা দুর্গন্ধ পেয়ে সন্দেহজনকভাবে তাজুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। এরপর পুলিশ তাঁকে আটক করে এবং তাঁর দেওয়া তথ্যে জঙ্গলের ভেতরে পুঁতে রাখা অবস্থায় শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, শিশুটির গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দা দিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যা করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাজুল ইসলাম মূলত সিলেটের বাসিন্দা ছিলেন। সাত-আট বছর আগে গুচ্ছ গ্রামে বসবাস শুরু করেন এবং পরে এখানেই বিয়ে করেন। শুক্রবার থেকে তাঁর মেয়ে নিখোঁজ ছিল। মেয়ের খোঁজে এলাকায় মাইকিংও করা হয়। পরে স্থানীয়দের সন্দেহের মুখে তাজুলের হত্যার কথা প্রকাশ্যে আসে।
তাজুলের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার সকালে তিনি মেয়েকে নিয়ে জঙ্গলে গাছের চারা লাগাতে যান। এক পর্যায়ে মেয়েকে একটি গাছের ডাল এনে দিতে বললে, শিশুটি কথামতো না চলায় ক্ষিপ্ত হয়ে হাতে থাকা দা দিয়ে গলায় আঘাত করেন। এতে শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে তাজুল মেয়ের মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন।
এ ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। শিশুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং অভিযুক্ত পিতার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে।