• সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন

কুতুবদিয়ায় এলপিজি ট্যাংকারে অগ্নিকাণ্ড: উদ্ধার ৩১ জন, ছোট ট্যাংকারের আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি

Reporter Name / ৩৪ Time View
Update : রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪

চট্টগ্রামের কুতুবদিয়া উপকূলের বহির্নোঙরে শনিবার রাতে দুটি এলপিজি ট্যাংকারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিদেশি পতাকাবাহী বড় এলপিজি ট্যাংকার “ক্যাপ্টেন নিকোলাস” নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়, তবে দেশীয় ছোট ট্যাংকার “এলপিজি সোফিয়া”র আগুন এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ছোট ট্যাংকারের নাবিক ও কর্মীদের নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।

বসুন্ধরা গ্রুপের এলপিজি ট্যাংকার ক্ষতিগ্রস্ত বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন ছোট ট্যাংকার “এলপিজি সোফিয়া” আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ট্যাংকারটি এলপিজি গ্যাস বোঝাই ছিল। অগ্নিকাণ্ডের সময় “ক্যাপ্টেন নিকোলাস” ট্যাংকার থেকে গ্যাস স্থানান্তর করা হচ্ছিল। বড় ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনের সতর্কতা ও দক্ষতার কারণে আগুন বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না করে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

উদ্ধার অভিযান কোস্টগার্ড ও বন্দরের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এলপিজি সোফিয়া ট্যাংকারের ১৮ জন নাবিক, দুজন মুরিং ম্যান, তিনজন পাহারাদার এবং “ক্যাপ্টেন নিকোলাস” থেকে ঝাঁপ দেওয়া আটজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া নাবিকদের মধ্যে ৯ জন বাংলাদেশি, ৮ জন ইন্দোনেশীয় এবং একজন ভারতীয়।

কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা বন্দর ও কোস্টগার্ড জানায়, শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। “ক্যাপ্টেন নিকোলাস” ট্যাংকার থেকে ৩,৩৫০ টন এলপিজি “এলপিজি সোফিয়া”তে স্থানান্তরের সময় ডেকে আগুন লাগে। পরে রশি ছিঁড়ে যাওয়ায় সোফিয়া ট্যাংকারটি দূরে সরে যায়।

কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর প্রচেষ্টা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বন্দরের অগ্নিনির্বাপক জলযান আগুন নেভাতে কাজ করছে। এলপিজি থাকায় আগুন থেমে থেমে জ্বলছে, তবে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

বিস্তারিত তদন্তের দাবি চট্টগ্রাম কাস্টমসের তথ্যমতে, “ক্যাপ্টেন নিকোলাস” ট্যাংকারে ৪২,৯২৫ টন এলপিজি ছিল, যা পাঁচটি প্রতিষ্ঠান আমদানি করেছিল। প্রথম দফায় ৩,২৫০ টন গ্যাস স্থানান্তরের পর দ্বিতীয় দফায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।


More News Of This Category
https://slotbet.online/