নালিতাবাড়ীতে ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হওয়ায় শেরপুরের চারটি ইউনিয়ন এবং পৌরসভার কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভারী বর্ষণ এবং উজানের ঢলের ফলে নদীর বাঁধ ভেঙে এবং উপচে পানি প্রবেশ করায় প্রায় কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
শেরপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মতে, আজ দুপুর পর্যন্ত ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। ভোগাই নদীর পানি ১ হাজার ৭১৪ মিলিমিটার এবং চেল্লাখালী নদীর পানি ২১.৯৫ মিলিমিটার ওপরে রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল সন্ধ্যা থেকে নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। এতে পোরাগাঁও, নয়াবিল, রামচন্দ্রকুড়া ও বাঘবের ইউনিয়ন এবং পৌরসভার গড়কান্দা ও নিচপাড়া এলাকাগুলো প্লাবিত হয়। বাঁধ ভেঙে এবং উপচে পানি প্রবেশ করায় স্থানীয় অনেক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়াও ভোগাই নদীর তীরবর্তী কিছু এলাকায় বাঁধ ভাঙার ফলে বাসাবাড়িগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ভোগাই নদীর বিভিন্ন অংশে বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করায় পৌরসভার কিছু সড়কেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। চেল্লাখালী নদীতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে বারমারি, বাতকুচি এবং সন্ন্যাসীভিটা এলাকার বাঁধ ভেঙে পড়েছে। এসব এলাকা বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে এবং স্থানীয়দের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।
ফায়ার সার্ভিস এবং প্রশাসন উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানিয়েছেন, বন্যাদুর্গতদের সাহায্যে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে এবং শিগগিরই তাদের মধ্যে শুকনা খাবার ও ত্রাণ বিতরণ করা হবে।
https://slotbet.online/