• শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৮:১৬ অপরাহ্ন

ডলারের বিনিময় মূল্য স্থিতিশীল রাখার কারণ

Reporter Name / ২৯ Time View
Update : রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে, একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ডলারের বিনিময় মূল্য। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একটি গোলটেবিল আলোচনায় ব্যাংক খাতের গভর্নর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন, যা বিনিময় মূল্যের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সহায়ক।

বাংলাদেশ ব্যাংক, দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ডলারের বিনিময় মূল্য নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন করে। তাদের ক্রমাগত নজরদারি ও বাজারে যথাযথ হস্তক্ষেপ এর অন্যতম কারণ। সংকটকালীন সময়ে তারা রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে বাজারকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।

বাংলাদেশের বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণও একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। যথেষ্ট রিজার্ভ থাকা মানে, বিদেশি মুদ্রার ওপর চাপ মোকাবিলা করার সক্ষমতা। যখন রিজার্ভ পর্যাপ্ত থাকে, তখন ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।

রপ্তানি খাতের উন্নয়ন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সও ডলারের প্রবাহে প্রভাব ফেলে। যখন দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধি পায়, তখন ডলারের দাম বাড়ার চাপ কমে আসে।

বিশ্ব বাজারের পরিবর্তনগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের নীতিমালা বাংলাদেশে ডলারের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক হতে পারে।

বাজারের প্রত্যাশা ও সঙ্কল্পও বিনিময় মূল্যকে প্রভাবিত করে। বিনিয়োগকারীরা যখন স্থিতিশীলতা প্রত্যাশা করে, তখন তারা ডলার কেনা-বেচায় সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়, যা বাজারের মানসিকতার ওপর প্রভাব ফেলে।

বাংলাদেশের ডলারের বিনিময় মূল্য স্থিতিশীল রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বৈদেশিক রিজার্ভ, রপ্তানি, আন্তর্জাতিক বাজার এবং বাজারের প্রত্যাশা একটি সমন্বিত ভূমিকা পালন করে। এসব ফ্যাক্টরের সমন্বয়ে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব।


More News Of This Category
https://slotbet.online/