• বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০২:০৬ অপরাহ্ন

বিএনপির সংস্কার দাবি: নির্বাচনের সময় নিয়ে অস্বস্তি

Reporter Name / ৩৩ Time View
Update : শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বিএনপি মনে করছে, প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো দ্রুত সম্পন্ন করে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনমুখী হতে পারে, তবে দীর্ঘ সময় দেওয়ার ব্যাপারে তাদের আপত্তি রয়েছে। দলের নীতিনির্ধারণী নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এমন মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে।

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান রয়টার্সকে এক সাক্ষাৎকারে আগামী ১৮ মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার কথা বলেছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও ২৬ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে বলেন, সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য এবং ভোটার তালিকা প্রস্তুত হলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।

বিএনপির নেতাদের মধ্যে কিছুজন সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন এবং মনে করছেন, সরকার আন্তরিক হলে ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব। তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বে নির্বাচনের সময় নিয়ে উদ্বেগ ও অসন্তুষ্টি রয়েছে। বিএনপি যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের দাবি করছে, কারণ তাদের মতে, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে খুব বেশি সময় লাগার কথা নয়।

বিএনপি বলছে, তারা সংবিধান সংস্কারের জন্যও প্রস্তুত, তবে সেই প্রক্রিয়াটি কতটা জটিল হবে তা নির্ভর করছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপর। ইতিমধ্যে ছয়টি কমিশন ঘোষণা করেছে, তারা ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্কার প্রতিবেদন জমা দেবে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তারা সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবও সামনে আনবে।

দলটির নেতারা নির্বাচন প্রশ্নে খুব অস্থিরতা নেই বলে দাবি করলেও, তারা দ্রুত নির্বাচন চায়। মির্জা ফখরুল বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন হওয়া উচিত।”

বিএনপির নেতাদের মধ্যে কিছুটা অস্বস্তি রয়েছে। ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানোর আশাবাদ থাকলেও, তৃণমূলের কিছু নেতার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং জামায়াতে ইসলামী সহ অন্যান্য দলের সঙ্গে মতবিরোধ পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, জামায়াত বিএনপির জন্য নতুন প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে পারে। জামায়াতের নেতারা নির্বাচনের সময় নির্বাচনী স্লোগান তুলতে আপত্তি জানিয়েছে, যা বিএনপির জন্য অসুবিধার কারণ হতে পারে।

বিএনপির নেতারা মনে করেন, নির্বাচন যত পেছাবে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা খুব চাপও দিতে পারছে না, কারণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার শেষ হওয়ার পরই নির্বাচন করার পক্ষে জনমত বেশি।

এমনকি বিএনপির নেতারা জানাচ্ছেন, জামায়াতের নতুন অবস্থান তাদের জন্য একটি ‘অদৃশ্য প্রতিপক্ষ’ তৈরি করতে পারে, যা দলের জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

এভাবে বিএনপি আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে এবং রাজনৈতিক অবস্থানকে সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে চেষ্টা করছে, যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের গতিবিধি সম্পর্কে তাদের কিছুটা অস্পষ্টতা রয়ে গেছে।


More News Of This Category
https://slotbet.online/