লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজধানী বৈরুতে নতুন করে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বিশেষ করে হিজবুল্লাহর কমান্ড সেন্টারে সংগঠনের নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শনিবারের এই হামলায় বৈরুতে ২০টিরও বেশি পৃথক বিমান হামলা হয়েছে। এর ফলে লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে পার্ক, ফুটপাত এবং সৈকতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
শুক্রবারও বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। কিন্তু হামলায় হাসান নাসরুল্লাহর ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। হিজবুল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলার সময় হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র দাবি করেছে, নাসরুল্লাহর নাগাল পাওয়া যায়নি। একই সময়ে ইরানের তাসনিম সংবাদ সংস্থাও হাসান নাসরুল্লাহর নিরাপদে থাকার কথা জানিয়েছে। ইরানের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, তেহরান হাসান নাসরুল্লাহর বিষয়ে হালনাগাদ খোঁজখবর নিয়েছে।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকেও হামলার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে দেশটির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করা এখনো সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। অনেক সময় আমাদের সাফল্যের বিষয়টি তারা লুকিয়ে রাখে।”
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গতকাল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনে ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের গাজা এবং লেবাননে হামলা অব্যাহত রাখবে ইসরায়েল। তার বক্তব্যের পরপরই এই হামলা চালানো হয়।
লেবাননের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবারের হামলায় ৬ জন নিহত এবং ৯১ জন আহত হয়েছেন। গত কয়েক সপ্তাহের হামলায় লেবাননে ৭০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে তেল আবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা কয়েক শ রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছেন। হামলা হয়েছে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সাফেদ শহরেও। ইসরায়েল জানিয়েছে, এসব হামলায় ন্যূনতম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর ভাগ্যে আসলে কী ঘটেছে, তা নিয়ে এখনো অজ্ঞতা রয়ে গেছে। তবে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান সংঘাত পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
https://slotbet.online/