পিটিআই নেতা জুলফিকার বুখারি জানিয়েছেন, “ইমরান খানের নির্দেশে চ্যান্সেলর নির্বাচনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আমরা একটি ঐতিহাসিক প্রচারের জন্য সকলের সমর্থন প্রত্যাশা করছি।”
অক্সফোর্ডের চ্যান্সেলর পদে ইমরান খান ছাড়াও সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ও বরিস জনসনও প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। এর আগে, দীর্ঘ ২১ বছর দায়িত্ব পালনকারী চ্যান্সেলর ক্রিস প্যাটেন পদত্যাগ করেন।
চ্যান্সেলর নির্বাচনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সশরীরে উপস্থিত থাকা প্রথা ভেঙে এবার অনলাইনে ভোট গ্রহণ করা হবে। ইমরান খান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র, যেখানে তিনি অর্থনীতি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি ১৯৭৫ সালে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
ইমরান খান ২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে, তিনি একাধিক মামলার মুখোমুখি, তবে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভোকেশন সদস্যদের ওপর চ্যান্সেলর নির্বাচনের দায়িত্ব থাকে। প্রার্থীদের কমপক্ষে দুজন কনভোকেশন সদস্যের মনোনয়ন প্রয়োজন। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৮ অক্টোবর, যেখানে নতুন চ্যান্সেলর দশ বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন।
অক্সফোর্ডের চ্যান্সেলর পদটি সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকদের জন্য সংরক্ষিত থাকে, এবং এটি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের জন্য একটি সম্মানজনক আসন হিসেবে বিবেচিত হয়। ইমরান খান এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ২০২২ সালে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন।
চ্যান্সেলর নির্বাচনে ইমরান খানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা একদিকে যেমন একটি রাজনৈতিক ঘটনা, অন্যদিকে এটি তাঁর পেশাদার জীবনের নতুন অধ্যায় সূচনা করতে পারে।