প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ২৪, ২০২৫, ১২:৩৭ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪, ৮:৩০ এ.এম
ময়মনসিংহের জনপ্রতিনিধিরা সরকারি ওয়েবসাইটে এখনও ‘বহাল’
গত ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারি তথ্য বাতায়ন (ওয়েবসাইট) দেখলে মনে হয়, ময়মনসিংহের ১১টি আসনের সংসদ সদস্য এখনও তাদের পদে বহাল আছেন। শুধু সংসদ সদস্যরাই নয়, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলির—সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার মেয়রদের নামও ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অবাক করা বিষয় হলো, স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরাও ওই ওয়েবসাইটে ‘বহাল’ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, যদিও তাদেরও অপসারিত করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের তথ্য বাতায়নে দেখা যায়, বিলুপ্ত সংসদের সংসদ সদস্য ও অপসারিত স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের নাম তালিকায় রয়েছে। অথচ ২০২৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তথ্য এখনও সেখানে আপডেট করা হয়নি। বর্তমানে ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তথ্য বহাল রয়েছে, যা সর্বশেষ হালনাগাদ করা হয়েছে ১২ সেপ্টেম্বর।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন। এরপর ৬ আগস্ট বিকেলে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন। ১৯ আগস্ট স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর ধারা ১৩ (ক) প্রয়োগ করে দেশের সকল সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারিত করা হয়। তার আগে ১৮ আগস্ট স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং পৌরসভার মেয়রদেরও অপসারণ করা হয়।
জেলা প্রশাসনের তথ্য বাতায়নে এখনও বিলুপ্ত সংসদের সদস্য ও অপসারিত জনপ্রতিনিধিদের তালিকা থাকার বিষয়টি জানতেন না ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম। তিনি আজ দুপুর দেড়টার দিকে বলেন, ‘‘তথ্য বাতায়নে যে ভুল রয়েছে, তা ঠিক করে দেওয়া হবে।’’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহের অন্যতম সমন্বয়ক গোকুল সূত্রধর মানিক বলেন, ‘‘এটি প্রশাসনের বড় ধরনের ব্যর্থতা। এতদিনেও কেন তথ্যগুলো আপডেট করা হয়নি, তা খুবই দুঃখজনক। যারা এই ওয়েবসাইটের তথ্য আপডেটের দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের জুলাই মাসের অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করা উচিত ছিল। যদি এ বিষয়ে অবহেলা হয়, তাহলে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’’
Copyright © 2025 Prime Vision 24. All rights reserved.