প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ৩১, ২০২৫, ৭:০৪ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪, ৮:৫৮ পি.এম
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান: মুশফিকুল ফজল
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সকল রাজনৈতিক দল এবং ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন মুশফিকুল ফজল আনসারি। সিলেট প্রেসক্লাবের আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা দেয়ার সময় তিনি বলেন, "এখন বিভাজনের সময় নয়, বরং ঐক্যবদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ার সময়। আমাদের একত্রিত হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে। এই সুযোগকে হাতছাড়া করা যাবে না।"
মুশফিকুল ফজল আনসারি, যিনি বর্তমানে ওয়াশিংটন প্রেসক্লাবের সদস্য এবং জাতিসংঘ ও হোয়াইট হাউসের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত, দীর্ঘ দশ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে সিলেটে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। তিনি ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে দেশ ত্যাগ করেন এবং সম্প্রতি দেশে ফিরে আসেন।
মতবিনিময় সভায় তিনি দেশের গর্ব ও মর্যাদার প্রতিনিধি হিসেবে ড. ইউনূসের প্রশংসা করেন এবং তাঁর আন্তর্জাতিক খ্যাতির ওপর জোর দেন। "আমরা একজন নোবেলজয়ীকে সরকারপ্রধান হিসেবে পেয়েছি, যিনি আমাদের আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানিত করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি, ড. ইউনূস তাঁর নামের প্রতি সুবিচার করবেন এবং সকল অপরাধীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবেন," বলেন মুশফিকুল ফজল।
ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে মুশফিকুল ফজল মন্তব্য করেন যে, এই সম্পর্কের ভিত্তি হতে হবে সমতা ও সম্মানজনক। তিনি বলেন, "যে ব্যক্তিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীসহ আন্তর্জাতিক মানবতাবাদী দেশগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে, সেখানে ভারত তার বিশেষ মর্যাদা দিয়ে রেখেছে, যা দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতির পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। শেখ হাসিনাকে দ্রুত ফিরিয়ে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত যাতে ভবিষ্যতে কেউ ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারে। এই দৃষ্টান্ত স্থাপন সম্ভব ড. ইউনূসের মাধ্যমে।"
মুশফিকুল ফজল আনসারির বক্তব্য সিলেটে রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে নতুন একটি আলোচনা শুরু করেছে। তার আহ্বান দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সব স্তরের মানুষের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দিকে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রবর্তন করেছে।
Copyright © 2025 Prime Vision 24. All rights reserved.