এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সেন্ট যোসেফ কলেজের শিক্ষার্থী আরেফিন আনোয়ার এবং নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী মিসবাহ উদ্দীন ইনান রৌপ্যপদক লাভ করেছেন। ব্রোঞ্জপদক অর্জনকারী ছাত্রদের মধ্যে নটর ডেম কলেজের আবরার শহীদ এবং একাডেমির রাফিদ আহমেদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। অলিম্পিয়াডের সায়েন্টিফিক ও ব্যবহারিক পর্ব যথাক্রমে ৯ ও ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা হয়।
রিয়াদে বাংলাদেশ দলের নেতৃস্থানীয় অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন জানান, “এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আমরা বুঝতে পারি যে, অলিম্পিয়াডের জগতে বাংলাদেশকে এখন অন্য দেশগুলো সমীহের চোখে দেখতে শুরু করেছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অলিম্পিয়াডে পদক অর্জন করে দেশের মেধার প্রমাণ দিচ্ছে এবং দেশের সম্মান বৃদ্ধি করছে। অন্যান্য দেশ আমাদের দলের কাছে এসে জানতে চাইছে কিভাবে বাংলাদেশ সমাধান করেছে।”
অধ্যাপক মইনুল হোসেন আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও ক্যাম্পের আয়োজন করা উচিত, যাতে তারা আরও ভালো ফলাফল করতে সক্ষম হয়।
চলতি বছরের মে মাসে অনলাইন ও অফলাইনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের এআই অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত জাতীয় ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ দিয়ে চার সদস্যের দল গঠন করা হয়।
বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) কর্তৃক আয়োজিত এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অলিম্পিয়াডের স্পনসর ছিল রিভ চ্যাট, ব্রেন স্টেশন ২৩, ই-জেনারেশন এবং ইন্টেলিজেন্ট মেশিনস।
অধ্যাপক মইনুল হোসেন আশা প্রকাশ করেন যে, নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও ক্যাম্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা আগামীতে আরও উন্নত ফলাফল অর্জন করবে।