চোটের কারণে মোহাম্মদ শামির অনুপস্থিতিতে ভারতের পেস আক্রমণের শক্তি কিছুটা কমেছে, তবে ভারতীয় পেসারদের উন্নতি বেশ প্রশংসনীয়। তবুও, গত চার বছরে ভারতের টেস্ট ক্রিকেটে পেসারদের চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন স্পিনাররা।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতের পেসাররা ৩৭ টেস্টে ৩০৭ উইকেট ও স্পিনাররা ৩৩৭ উইকেট নিয়েছে। এই সময়ে পেসারদের তুলনায় স্পিনাররা বেশি কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছেন। সর্বশেষ দুই বছরের পরিসংখ্যানেও স্পিনাররা উইকেট বেশি নিয়েছে।
এই সবকিছু মাথায় রেখে, বাংলাদেশ সিরিজের জন্য ভারতের পরিকল্পনায় স্পিনারদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। সিরিজের দুটি ভেন্যু—চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়াম ও কানপুরের গ্রিন পার্ক—স্পিনবান্ধব। এছাড়া, ভারতীয় দলের পছন্দের এসজি বল টেস্ট ম্যাচের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে পুরোনো বল দিয়ে স্পিনাররা অধিক কার্যকরী হয়ে ওঠেন।
অশ্বিন ও জাদেজা দুইজনই দলের প্রথম স্পিনার হিসেবে নিশ্চিত। তবে তৃতীয় স্পিনার হিসেবে কুলদীপ যাদব নাকি অক্ষর প্যাটেল—এটি একটি বিতর্কিত বিষয়। ভারতের টিম ম্যানেজমেন্টের সামনে দুটি প্রধান বিষয় রয়েছে:
- স্পিন বৈচিত্র্য: কুলদীপ যাদব কবজির স্পিনের জন্য পরিচিত এবং তার গুগলি বিপক্ষের জন্য সমস্যা হতে পারে। গত ২০২২ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে তিনি ৫ উইকেটসহ দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন। কুলদীপের কবজির স্পিন তাকে বিভিন্ন ধরনের স্পিন আক্রমণে সক্ষম করে তোলে।
- বাঁহাতি স্পিনারদের প্রভাব: বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে বেশ কয়েকজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান রয়েছেন। এই কারণে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট আরও একজন বাঁহাতি স্পিনার (অক্ষর) নেওয়া বিলাসিতা মনে করতে পারে। যদিও অক্ষরের টেস্ট উইকেট সংখ্যা ভাল হলেও, তার মূল ভূমিকা সংক্ষিপ্ত সংস্করণের স্পিনার হিসেবে পরিচিত।
অ্যাকচুয়ালভাবে, কুলদীপ যাদবের টেস্ট উইকেট শিকারির ক্ষমতা এবং স্ট্রাইক রেট (৩৭.০) অক্ষরের (৪৬.১) চেয়ে ভাল। ফলে, উইকেট শিকারির সক্ষমতার ভিত্তিতে কুলদীপের খেলার সম্ভাবনা বেশি।
উপসংহারে, বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের টেস্ট সিরিজে তৃতীয় স্পিনার হিসেবে কুলদীপ যাদবের খেলার সম্ভাবনা বেশি মনে হচ্ছে। তার কবজির স্পিন এবং গুগলি দুইদিকের বাঁক দিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলতে সক্ষম।