অবৈধ অভিবাসন এবং অভিবাসননীতি:
ট্রাম্প যদি পুনরায় প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে তাঁর প্রথম পদক্ষেপ হবে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপারে কঠোর নীতি গ্রহণ করা। তিনি অঙ্গীকার করেছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই অভিবাসীদের বিতাড়নের জন্য একটি বৃহৎ অভিযান শুরু করবেন। এছাড়া, সীমান্ত দেয়াল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য তিনি সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছেন এবং নতুন আটককেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশনীতি:
ট্রাম্পের বর্তমান পরিকল্পনার একটি বড় অংশ হলো প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে আবারো প্রত্যাহার করা। তিনি বাইডেন প্রশাসনের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য করা তহবিল এবং বৈদ্যুতিক গাড়ি সংক্রান্ত আদেশ বাতিল করার কথা বলেছেন। তাঁর মতে, এই পদক্ষেপগুলো জ্বালানির খরচ কমিয়ে এনে অর্থনৈতিক সুবিধা এনে দেবে।
অর্থনীতি এবং বাণিজ্যনীতি:
ট্রাম্পের পরিকল্পনা রয়েছে আমদানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার, যা যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকারক কোম্পানিগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক হবে। এর মাধ্যমে তিনি চীনের মতো দেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক পরিবর্তন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন এবং আমেরিকার অভ্যন্তরীণ শিল্প ও ব্যবসায়ের উন্নতি করার প্রত্যাশা করছেন।
জাতীয় নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক:
ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে সক্ষম হবেন। যদিও তিনি তাঁর পরিকল্পনার বিস্তারিত প্রকাশ করেননি, তবে তাঁর অবস্থান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রিপ্টোকারেন্সির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁর।
গর্ভপাত ও সামাজিক নীতি:
গর্ভপাতের অধিকার সম্পর্কে ট্রাম্পের অবস্থান আগের মতই রক্ষণশীল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে গর্ভপাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য তাঁর প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে তাঁর পরিকল্পনার বিস্তারিত স্পষ্ট নয়।
চীন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য:
চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি চীনের ‘মোস্ট ফেবার্ড নেশন’ মর্যাদা প্রত্যাহার করার কথা বলেছেন, যা বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
উপরের তথ্যগুলো একটি ধারণা প্রদান করে যে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নীতিতে কী ধরনের পরিবর্তন আনতে পারেন। তাঁর পরিকল্পনাগুলোর বাস্তবায়ন কিভাবে হবে তা নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফল এবং পরে তাঁর প্রশাসনিক কার্যক্রমের ওপর।