• শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ১১:৩৬ অপরাহ্ন

সাভার ও আশুলিয়ায় ২১টি পোশাক কারখানায় ছুটি: শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রাখার কারণে পরিস্থিতি

Reporter Name / ৪৬ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ঢাকার সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে আজ সকালে শ্রমিকরা নির্দিষ্ট সময়ে কারখানায় উপস্থিত হলেও, বেশিরভাগ কারখানায় তারা কাজ শুরু করেনি। এই অবস্থায়, ২১টি কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি ঘোষণা করেছে। এদিকে, পূর্বে বন্ধ থাকা ১৯টি পোশাক কারখানাও বন্ধ রয়েছে।

সম্প্রতি শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবির প্রেক্ষিতে বিক্ষোভের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এলাকাগুলোতে মোতায়েন রয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আশুলিয়ার বিভিন্ন সড়কে সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশ সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে সাভার ও আশুলিয়ার পোশাক কারখানাগুলোর অনেক শ্রমিক নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হলেও, কিছু কারখানায় তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা কাজ শুরু করেননি এবং কারখানার ভেতরে বসে থাকেন। এর ফলে, দুপুর ১২টার মধ্যে ২১টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।

শিল্পাঞ্চল পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, আশুলিয়ায় শ্রমিকেরা হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, টিফিন বিল বৃদ্ধি সহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। এছাড়া, কারখানায় সমপরিমাণ নারী-পুরুষ নিয়োগ ও চাকরির দাবিতে চাকরিপ্রত্যাশীরাও বিক্ষোভ করেছেন। এর ফলে, কিছু কারখানায় শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ এবং হামলার ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

বিজিএমইএ (বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন) ও শ্রমিক নেতাদের মধ্যে বৈঠকের পর কিছু দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে, বেশিরভাগ কারখানা আজকে সচল রয়েছে। তবে কিছু কারখানা এখনও বন্ধ রয়েছে এবং কিছু কারখানায় শ্রমিকরা অভ্যন্তরীণ দাবিতে কাজ বন্ধ রেখেছেন। দুপুরের পর প্রকৃত পরিস্থিতি আরো পরিষ্কার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

র‍্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর জালিস মাহমুদ খান জানিয়েছেন, আজ ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত র‍্যাবের ১৫টি টহল দল কাজ করছে। সাভার ও আশুলিয়ার পরিস্থিতি বর্তমানে অনেকটাই স্বাভাবিক। সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশ এবং বিজিবি সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।

শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, বেশিরভাগ কারখানায় শ্রমিকরা কাজ করছেন। পূর্বে বন্ধ থাকা ১৯টি কারখানা আজও বন্ধ রয়েছে, এবং নতুন করে ২১টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে, আজ ৪০টি কারখানায় কাজ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং কোথাও নতুন কোনো শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেনি।


More News Of This Category
https://slotbet.online/