যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ‘গেটস কেমব্রিজ স্কলারশিপ’ প্রোগ্রাম প্রদান করছে। এই স্কলারশিপের আওতায় পিএইচডি, এমএসসি, এমএলিট বা এক বছরের স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অধ্যয়নের সুযোগ প্রদান করা হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কোর্সভেদে আবেদনের সময়সীমা ভিন্ন হতে পারে—কিছু কোর্সের জন্য আবেদন শেষ তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, আর কিছু কোর্সের জন্য ৭ জানুয়ারি ২০২৫।

২০০০ সালের অক্টোবরে গেটস কেমব্রিজ স্কলারশিপ প্রোগ্রাম শুরু হয়। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও তাঁর স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস তাঁদের ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’ থেকে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়কে ২২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান প্রদান করেন। এটি যুক্তরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া সর্বকালের সবচেয়ে বড় অনুদান এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সম্মানজনক বৃত্তি।

বৃত্তির সুযোগ-সুবিধা:

• সম্পূর্ণ টিউশন ফি এবং অন্যান্য খরচ বহন করা হবে।
• এক বছরের জন্য রক্ষণাবেক্ষণ ভাতা হিসেবে ২১ হাজার পাউন্ড প্রদান করা হবে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৩ লাখ ৩ হাজার ৩৮১ টাকা, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ অনুযায়ী ১ পাউন্ড = ১৫৭ টাকা ৩০ পয়সা)। পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য এটি চার বছর পর্যন্ত দেওয়া হবে।
• উড়োজাহাজে যাতায়াতের খরচ।
• ভিসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ।
• বিভিন্ন কনফারেন্স ও কোর্সে যোগদানের জন্য কোর্সভেদে ৫০০ থেকে ২ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত ভাতা।
• প্রথম সন্তানের জন্য ১১ হাজার ৬০৪ পাউন্ড এবং দ্বিতীয় সন্তানের জন্য ১৬ হাজার ৫৪৮ পাউন্ড পারিবারিক ভাতা।
• সঙ্গীর জন্য কোনো তহবিল প্রদান করা হবে না।
• পিএইচডির ফিল্ড ওয়ার্কের সময় খরচ প্রদান করা হবে।
• মাতৃত্ব/পিতৃত্ব তহবিল।
• অপ্রত্যাশিত সমস্যার ক্ষেত্রে তহবিল প্রদান।

যোগ্যতা:

• আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হতে হবে।
• একাডেমিক ফলাফল ভাল হতে হবে।
• অসামান্য মেধা ও যোগ্যতা থাকতে হবে।
• ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে।
• প্রোগ্রামটি কেন নির্বাচন করেছেন তা ব্যাখ্যা করতে হবে।
• নেতৃত্বের সম্ভাবনা থাকতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া:

আগ্রহী শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন প্রক্রিয়া এবং বিস্তারিত তথ্যের জন্য নির্ধারিত ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করুন।

এই স্কলারশিপ প্রোগ্রাম আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সুযোগ, যা তাদের উচ্চশিক্ষার পথে আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান করে।