• শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন

নদীর সঠিক সংখ্যা নির্ধারণে দুই মাসের সময়সীমা: পানিসম্পদ উপদেষ্টার নির্দেশনা

Reporter Name / ৪১ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশের নদীর প্রকৃত সংখ্যা চূড়ান্ত করতে এবং তাদের রক্ষা করতে দুই মাসের মধ্যে একটি সঠিক তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছেন পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ লক্ষ্যে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপদব), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), নদী রক্ষা কমিশন এবং বিভাগীয় কমিশনারদের একত্রে কাজ করতে বলা হয়েছে।

উপদেষ্টা বলেছেন, প্রস্তুতকৃত তালিকা জনমত সংগ্রহের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে এবং আপত্তি গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় শুনানি আয়োজন করতে হবে। গত বুধবার রাতে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় নদী সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের জন্য এই নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

এ সভায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, নৌপরিবহন ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, এবং নদী রক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নির্দেশনা দিয়েছেন, দেশের ৬৪টি জেলা থেকে অন্তত ৬৪টি নদী চিহ্নিত করে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে একটি সময়ভিত্তিক ও ব্যয়সাশ্রয়ী পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে হবে। পরবর্তীতে, একটি সমন্বিত অভিযানের মাধ্যমে দখল উচ্ছেদ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান সভায় জানিয়েছেন, পরিবেশ অধিদপ্তর দূষিত নদীর তালিকা প্রণয়ন করবে এবং দূষণকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে নিয়মিত তদারকি করবে। প্লাস্টিক দূষণে আক্রান্ত নদীগুলির তালিকা প্রস্তুত করে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর প্রতিটি নদীর জন্য একটি ‘হেলথ কার্ড’ তৈরি করবে, যা নদীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য দেবে। পাশাপাশি, এলাকাবাসী, তরুণ প্রজন্ম, সামাজিক সংগঠন ও এনজিওগুলিকে অভিযানে সম্পৃক্ত করতে হবে।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা কীর্তনখোলা ও রূপসা নদীর অবৈধ দখলমুক্ত করতে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছেন। রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ প্রচলনের জন্য একটি প্রচারাভিযান শুরু হবে এবং পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের নদীগুলির সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ ও তাদের রক্ষা করার পাশাপাশি দেশের পরিবেশ সুরক্ষার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


More News Of This Category
https://slotbet.online/