মহান মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে দেশের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন একটি বিশাল অগ্রগতি লাভ করেছে। আজকের বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রযুক্তি-সর্বাধিক সুবিধা সহ উন্নত চিকিৎসার সব ধরনের সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে ক্যান্সার নির্ণয় এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তির সংযোজন এবং বিদেশী বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে।
বিশ্বমানের ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে এখন অত্যাধুনিক ক্যান্সার সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এসব কেন্দ্রগুলোতে সঠিক ও আধুনিক ডায়াগনস্টিক টেস্ট, কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপি এবং অন্যান্য উন্নত চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া হয় অত্যাধুনিক ইমেজিং টেকনোলজি, যেমন পিট স্ক্যান, এমআরআই এবং সিটি স্ক্যান ব্যবহার করে, যা ক্যান্সারের সঠিক নির্ণয় এবং পর্যবেক্ষণ করতে সহায়তা করে।
এছাড়া, বাংলাদেশে ক্যান্সার গবেষণা এবং নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নয়নেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা চলছে, যা চিকিৎসার নতুন নতুন পদ্ধতির উন্নয়ন ও প্রয়োগে সহায়তা করছে।
মেডিকেল ট্যুরিজমের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ একটি প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে রয়েছে। বিদেশী রোগীরা অত্যাধুনিক চিকিৎসা সুবিধা এবং সাশ্রয়ী খরচে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য এখন বাংলাদেশে আসছেন। এই ধরণের চিকিৎসা বিদেশীদের জন্য দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতের আন্তর্জাতিক মানের পরিচয় বহন করছে।
অবশ্যই উল্লেখযোগ্য যে, ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে হলে চিকিৎসক, গবেষক, এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে উচ্চ মান বজায় রেখে এবং রোগীদের সর্বোত্তম সেবা প্রদান নিশ্চিত করে বাংলাদেশ বিশ্বমানের ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।
এই উন্নয়ন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে এবং দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করেছে।