মজুরি বৃদ্ধি, হাজিরা বোনাস, এবং চাকরিতে নারী-পুরুষের সমতা চেয়ে গাজীপুর ও সাভারের পোশাকশিল্পের শ্রমিকরা ব্যাপক বিক্ষোভে নেমেছেন। এই বিক্ষোভের ফলে শতাধিক কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। শ্রমিকরা বিভিন্ন সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে এবং কিছু কারখানায় ভাঙচুর চালিয়েছে। এ অবস্থায় শিল্প কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অস্থিরতা দমনে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযান শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শ্রমিকদের বিক্ষোভে ৪০টি কারখানা আশুলিয়ায় এবং ৪৫টি গাজীপুরে ছুটি ঘোষণা করেছে। বিক্ষোভে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসসহ ওষুধ ও খাদ্য শিল্পেও অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে।
বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল রাকিব বিক্ষোভের পেছনে ইন্ধনের অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে, শ্রমিকনেতা বাবুল আখতার দাবি করেছেন, শ্রমিকদের প্রতি অবিচার ও নিপীড়নের কারণে এই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছে।
গাজীপুরে ১১টি কারখানায় ভাঙচুর ও দুটি কারখানায় লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ওষুধ শিল্পেও শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, যার ফলে টাঙ্গাইলের স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের একটি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক এই শ্রমিক বিক্ষোভ ও অস্থিরতা দেশের বিভিন্ন শিল্পখাতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে। সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছে।
https://slotbet.online/