বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে জীবনযাপন করছেন হাজারো মানুষ। এদের মধ্যে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মো. সোলেমানও আছেন, যিনি দীর্ঘ দুই সপ্তাহ ধরে শুকনা খাবারেই দিন কাটাচ্ছিলেন। তবে গতকাল সোমবার প্রথমবারের মতো তিনি পেলেন রান্না করা ভাত, ডাল, সবজি ও মাংস, যা খেয়ে তাঁর দীর্ঘদিনের তৃপ্তির অভাব মিটল।
প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের সহায়তায় গতকাল সেনবাগের তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যার্ত ১,১০০ মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। ডুমুরুয়া ইউনিয়নের পদুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে, যেখানে ৫০০ বন্যার্তকে রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হয়। এছাড়া, কাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এর নিকটবর্তী একটি নূরানি মাদ্রাসায় আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা ৬০০ মানুষকেও এই সহযোগিতা দেওয়া হয়।
খাবার পেয়ে বন্যার্তদের মধ্যে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছিলেন মো. হারুন, একজন রিকশাচালক। তিনি জানান, ‘আজকের খাবারগুলো খেয়ে অনেক তৃপ্তি পেলাম। এই খাবারের কথা বহুদিন মনে থাকবে।’ একই আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা আমেনা বেগমও প্রথমবারের মতো রান্না করা খাবার পেয়ে দারুণ খুশি হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এমন তৃপ্তির খাওয়া অনেক দিন খেতে পারিনি। আল্লাহ আপনাদের ভালো করবে।’
প্রথম আলো ট্রাস্টের এই উদ্যোগ অসহায় মানুষদের জীবনে সামান্য হলেও স্বস্তির মুহূর্ত এনে দিয়েছে, যা তাঁদের দৈনন্দিন সংগ্রামের মাঝে একটুখানি প্রশান্তি এনে দিয়েছে।
https://slotbet.online/