আগের সপ্তাহে, ব্যাংক থেকে চার লাখ টাকা পর্যন্ত উত্তোলনের অনুমতি ছিল। তার আগের সপ্তাহে সীমা ছিল তিন লাখ টাকা। গত চার সপ্তাহে, প্রতি সপ্তাহে উত্তোলনের সীমা এক লাখ টাকা করে বাড়ানো হচ্ছে। অর্থাৎ, ধীরে ধীরে উত্তোলনের সীমা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
৮ আগস্ট তারিখে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর নিরাপত্তা concerns এবং ব্যাংকিং খাতের অস্থিতিশীলতা মোকাবেলায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, নিরাপত্তা শঙ্কা এবং ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য এই সীমা আরোপ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের নির্দেশনায় জানিয়েছে যে, নিরাপত্তার কারণে ব্যাংক শাখায় টাকা স্থানান্তরে সমস্যা হচ্ছে। তাই, এক হিসাব থেকে পাঁচ লাখ টাকার বেশি উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। চেকের মাধ্যমে লেনদেনের নজরদারি জোরদার করার এবং সন্দেহজনক লেনদেন বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে।
পূর্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংক ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) জরুরি বার্তা পাঠিয়েছিল, যাতে নিরাপত্তার কারণে শাখায় টাকা স্থানান্তরের সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।
তবে, নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা থাকা সত্ত্বেও, গ্রাহকরা যেকোনো পরিমাণ টাকা ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে স্থানান্তর করতে পারবেন।
৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশ ছাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য এই সীমা আরোপ করা হয়। তবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ধীরে ধীরে নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে কিছু প্রতিষ্ঠান বেতন দেওয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকার বেশি উত্তোলনের প্রয়োজন হতে পারে। এ ক্ষেত্রে, তারা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পরিমাণ টাকা উত্তোলন করতে পারবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, উত্তোলনের সীমা ধীরে ধীরে তুলে নেওয়া হবে।