উদ্ধারকৃত সামগ্রীর মধ্যে ক্রীড়া উপকরণ, সেলাই মেশিন, হুইলচেয়ার, চিকিৎসকের অ্যাপ্রন, শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রি-পিস এবং শিক্ষার্থীদের টিফিন বক্সসহ নানা ধরনের সরকারি মালামাল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) গাজী মূয়ীদুর রহমান জানান, গুদামের মূল ফটকের দুটি তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে বস্তাবন্দী সরকারি মালামাল উদ্ধার করা হয়। এসব বস্তার গায়ে ‘সরকারি পণ্য বিক্রিযোগ্য নহে’ লেখা ছিল। বর্তমানে উদ্ধারকৃত মালামাল জেলা প্রশাসনের হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গুদামের মালিক সুরমান আলী জানান, প্রায় এক বছর আগে সাবেক মন্ত্রীর ফুফাতো ভাই সাজাহান সিরাজ (দোলন) গুদাম হিসেবে বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। এরপর থেকেই এখানে সরকারি মালামাল মজুত রাখা হচ্ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এই সরকারি মালামাল জেলা প্রশাসনের জনগণের মধ্যে বিতরণের বদলে বাইরে বিক্রি করা হতো। এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের জন্য সাজাহান সিরাজ দায়ী।
জেলা প্রশাসক শামীম হাসান মন্তব্য করেন, “অবৈধভাবে গুদামজাত করা বিপুল পরিমাণ সরকারি মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এই মালামালের তালিকা তৈরি করে মূল্য নির্ধারণ করা হবে। সরকারি অনুদান হিসেবে দেওয়া হওয়ার কথা ছিল এসব সামগ্রীকে কীভাবে ব্যক্তিমালিকানাধীন গুদামে নিয়ে যাওয়া হলো, তা অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে।”
এ ঘটনায় প্রশাসন প্রয়োজনীয় তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সচেষ্ট।