গত বছর, বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ, ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ওরাম। তবে, এই তিনটি সফর নিউজিল্যান্ডের জন্য সফল হয়নি। বাংলাদেশ সিরিজে ১-১ ব্যবধানে ড্র করার পর, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে পরাজিত হয় নিউজিল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তারা গ্রুপ পর্বেই বাদ পড়ে যায়।
৪৬ বছর বয়সী জ্যাকব ওরামের কোচিং ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০১৪ সালে, যখন তিনি নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বোলিং কোচ হন। পরে ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড নারী ক্রিকেট দলের বোলিং কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও তার কোচিং অভিজ্ঞতা রয়েছে। সুপার স্ম্যাশে সেন্ট্রাল হিন্দস, টি-টেনে নর্দান ওয়ারিয়র্সের সহকারী কোচ এবং এসএ টোয়েন্টিতে মুম্বাই কেপটাউনের বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
অবসর নেওয়ার পর নিউজিল্যান্ডের হয়ে ১১ বছর ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে ওরাম ৩৩ টেস্ট, ১৬০ ওয়ানডে ও ৩৬ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। নিউজিল্যান্ড দলের বোলিং কোচ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে পেরে তিনি উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, “ব্ল্যাক ক্যাপসদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। এই দল আমার কাছে বিশেষ, এবং তাদের সঙ্গে পুনরায় কাজ করতে পারা আমার জন্য সম্মানের বিষয়। নতুন প্রতিভা উঠে আসছে, আমি আমার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত করতে চাই।”
নিউজিল্যান্ড দলের প্রধান কোচ গ্যারি স্টিডও ওরামকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, “জ্যাক দারুণ একজন কোচ। খেলোয়াড় হিসেবে তার অভিজ্ঞতা এবং কোচিং দক্ষতা তা প্রমাণ করে। এটি তার জন্য একটি বড় সুযোগ। আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত এবং অপেক্ষা করছি তার জন্য।”
এই নতুন নিয়োগ নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের জন্য নতুন সম্ভাবনার সূচনা হতে পারে, যেখানে জ্যাকব ওরামের অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বে দলের বোলিং শক্তি আরও বেড়ে যাবে।