১. ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা
ই-কমার্স কার্যক্রমের মূল ভিত্তি ইন্টারনেট। শহর ও গ্রামের সব জায়গায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করা প্রয়োজন। দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগের অভাব দূর হলে উদ্যোক্তা সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যবসা দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটবে। সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়ার সুযোগ প্রদান ই-কমার্স ব্যবসাকে আরো ত্বরান্বিত করবে।
২. ব্যাংক ঋণ ও আর্থিক সহায়তা
ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ পাওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। গত মাসে ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউটের ঘটনায় ই-কমার্স উদ্যোক্তারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তাই, স্বল্প সুদে ঋণ ও ক্ষয়ক্ষতির বিবেচনায় ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো প্রয়োজন। এ ছাড়া, ভ্যাট ও ট্যাক্স সংক্রান্ত নীতিমালা সহজ ও বোধগম্য করা উচিত।
৩. স্টার্টআপ সাপোর্ট সিস্টেম
একটি পূর্ণাঙ্গ স্টার্টআপ একাডেমি গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে উদ্যোক্তারা তহবিল সংগ্রহ, ক্রাউড ফান্ডিং, ব্যবসার সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে পরামর্শ পাবেন। ই-কমার্স খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের লজিস্টিকস, ডিজিটাল বিপণন, ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট ও ডেটা অ্যানালাইসিসে প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত।
৪. ডিজিটাল স্বাক্ষরতা ও অন্তর্ভুক্তি
গ্রাহক ও উদ্যোক্তা উভয় পর্যায়েই ডিজিটাল স্বাক্ষরতা বাড়ানো জরুরি। স্মার্টফোনের ব্যবহার ও ডিজিটাল লেনদেনের প্রবণতা বৃদ্ধি করতে হবে। স্মার্টফোন আমদানি ও স্থানীয় উৎপাদনে শুল্ক কমানো এবং স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ভর্তুকির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
৫. নীতিমালা ও সহায়তা
ই-কমার্স খাতের বিকাশে প্রয়োজন বিশেষ জোর দিয়ে ডিজিটাল লেনদেনকে উৎসাহিত করা, নগদ অর্থের ওপর নির্ভরতা কমানো, এবং অনলাইন ভিত্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসা ও রেস্তোরাঁগুলোকে সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করা। এছাড়া, স্টার্টআপ সংস্কৃতি উন্নয়নে মেন্টরশিপ ব্যবস্থা, উন্নত ডিজিটাল অবকাঠামো ও কর প্রণোদনার প্রয়োজন।
৬. বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে হলে কর-সংক্রান্ত জটিলতা, নীতিমালাগত অনিশ্চয়তা, ট্রেড লজিস্টিকস ও কাঠামোগত দুর্বলতা দূর করতে হবে। উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে দক্ষতা ও উদ্ভাবনের বিকাশ ঘটানো জরুরি।
এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণের মাধ্যমে দেশের ই-কমার্স খাতকে শক্তিশালী ও গতিশীল করা সম্ভব হবে। সরকারের সহায়ক নীতিমালা ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ দেশের ই-কমার্স খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।