চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ১৬টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সম্প্রতি আত্মগোপনে রয়েছেন, যার ফলে ওই ইউনিয়নগুলোর জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের দায়িত্ব নিতে হয়েছে উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, উপজেলা পর্যায়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা হলেন— চরতী ইউনিয়নে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসাইন, খাগরিয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসাইন, নলুয়ায় সমবায় কর্মকর্তা আবু মুহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, কাঞ্চনায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী (জনস্বাস্থ্য) মিজানুর রহমান, আমিলাইষে ইউডিএফ বশির উদ্দীন আহমেদ, এওচিয়ায় শিক্ষা কর্মকর্তা কৃষ্ণ লাল দেবনাথ, মাদার্শায় আইসিটি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন, ঢেমশায় যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. সামছুদ্দীন, পশ্চিম ঢেমশায় মৎস্য কর্মকর্তা জাকিয়া আবেদীন, কেঁওচিয়ায় উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে, কালিয়াইশে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কানেজা ফাতেমা মৌসুমী, ধর্মপুরে পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ভাস্কর প্রসাদ চৌধুরী, বাজালিয়ায় সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আনিসুল ইসলাম, পুরানগড়ে প্রকল্প কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার সরকার, সাতকানিয়া সদরে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, এবং সোনাকানিয়ায় কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান।
ইউএনও মিল্টন বিশ্বাস জানান, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে এই ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনুমোদন ছাড়া তাদের কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন, যার ফলে সাধারণ জনগণ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই সমস্যা সমাধানে এবং জনসেবার স্বার্থে ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিবন্ধকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত তারা এই দায়িত্ব পালন করবেন।
সাতকানিয়া উপজেলায় এমন অবস্থার কারণে স্থানীয় জনগণের মধ্যে সেবা প্রাপ্তি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে সরকারের এই পদক্ষেপ জনগণকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে, কারণ তারা এখন নিবন্ধন সংক্রান্ত সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন না।
https://slotbet.online/