খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। আজ বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যসচিব নুরুল হাসান খুলনা সদর থানায় মামলাটি করেন। মামলায় আইনজীবী সমিতির প্রায় ৭৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক দুই সাধারণ সম্পাদক তারিক মাহমুদ ও কে এম ইকবাল হোসেন, সাবেক সভাপতি কাজী বাদশা মিয়া এবং সাইফুল ইসলামের ব্যক্তিগত হিসাবরক্ষক ইসতিয়াক।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে যে ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর আইনজীবীদের জন্য একটি বিশেষ কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়। এই তহবিলে সঞ্চিত অর্থ দিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়ী স্কিম করা হয়, যার মাধ্যমে আইনজীবীরা টাকা জমা দেওয়া শুরু করেন। সাড়ে ৩ বছরে এই তহবিলে ৩ কোটি ৮০ লাখ ২৬ হাজার ৫১২ টাকা জমা হয়। পরে সাইফুল ইসলামসহ অন্যরা সেই ব্যাংক হিসাব ভেঙে ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। উত্তোলিত অর্থ থেকে ২ কোটি ৪০ হাজার ৪৪০ টাকা আইনজীবীদের মধ্যে বণ্টন করা হয় এবং এক কোটি টাকার একটি এফডিআর করা হয়। বাকি ৭৩ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬০ টাকা আত্মসাৎ করা হয় বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার বাদী নুরুল হাসান জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন। ১৩ আগস্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভায় এই অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী নুরুল হাসান নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন খান বলেন, মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে এবং তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে এবং অন্যান্য আসামিদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে খুলনার আইনজীবী মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।