হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৯ জন নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় আসামি তালিকা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের দাবি, অনেকেই ঘটনায় জড়িত না থাকা সত্ত্বেও তাদের নাম মামলার আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিএনপি নেতাদের পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে এ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন তারা।
বিএনপি নেতারা পুলিশকে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের এনে, আসামি তালিকা তৈরি করেছেন
এ মামলায় হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ময়েজ উদ্দিনসহ ১৬০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, প্রবাসী, সরকারি কর্মকর্তাসহ সাংবাদিকরা।
এক বছর বিরতির পরও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে থাকবেন রুট-স্টোকস
নিহতদের পরিবারগুলো অভিযোগ করেছে, মামলা দায়েরের আগে তাদের জেলা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিএনপির নেতারা তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এবং সেখানেই মামলার আসামি তালিকা তৈরি করা হয়। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ না করেই এই তালিকা করা হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
এই মামলায় ৭১ নম্বর আসামি করা হয়েছে রুহুল আমিনকে, যিনি প্রবাসে বসবাস করছেন। তার বাবা আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, রুহুল আমিন ইতালিতে বসবাস করছেন এবং কোনোভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন না। এছাড়া মামলায় নাম থাকা অন্যান্য ব্যক্তিরাও নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন।
এদিকে, পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মামলার ঘটনাস্থল ও ঘটনার বিবরণ একই ধরনের হওয়ায় সব আসামিকে এক মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবারের সদস্যদের টাকা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে কায়রোতে সমঝোতা হয়নি
এই সংঘর্ষে ৯ জন নিহত হওয়ার পর আশপাশের গ্রামের মানুষ থানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে এবং থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়। তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে একজন পুলিশ উপপরিদর্শককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পৃথক একটি হত্যা মামলাও দায়ের করা হয়েছে, যেখানে পাঁচ থেকে ছয় হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
এই মামলার আসামি তালিকা এবং ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের নিয়ে বিতর্ক চলমান রয়েছে। ঘটনাটি রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।