ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার চুনতি ইউনিয়নের গর্বিত সন্তান ড. নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি ঢাবির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত ছিলেন।
ড. নিয়াজ আহমেদ খানের নিয়োগের বিষয়টি সোমবার (২৬ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-এর প্রো-ভিসি এবং ভারপ্রাপ্ত ভিসির দায়িত্ব পালন করছেন।
ড. নিয়াজের একাডেমিক ও পেশাগত অর্জন অভাবনীয়। তিনি ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড, ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলস সোয়ানসি, এবং এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ ও গবেষণা করেছেন। বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্যে তাঁর উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা এবং একাডেমিক ক্ষেত্রে প্রচুর অবদান রয়েছে।
১৯৬৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করা ড. নিয়াজের পরিবার বাংলাদেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি অঙ্গনে একটি উজ্জ্বল নাম। তাঁর পিতা মরহুম ড. শফিক আহমেদ খান এবং দাদা মরহুম কবির উদ্দিন খানও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
চট্টগ্রাম কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করে ড. নিয়াজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি যুক্তরাজ্যের ওয়েলস ইউনিভার্সিটি থেকে সম্মাননাসহ পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি, সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এবং এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা সম্পাদন করেন।
ড. নিয়াজের কর্মজীবন অত্যন্ত সমৃদ্ধ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক এবং ব্রাক ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্টের একাডেমিক ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার (আইইউসিএন) এর বাংলাদেশ প্রধান ছিলেন তিনি।
তার পেশাগত অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বে কাজের জন্য তিনি বিশ্ব ব্যাংক, জাতিসংঘ, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, এবং বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপদেষ্টা ও পরামর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন। ড. নিয়াজ ১৬০টিরও বেশি গবেষণামূলক প্রবন্ধের লেখক এবং পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত একজন বিশেষজ্ঞ।
ড. নিয়াজ আহমেদ খানের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি নতুন দিগন্তে পৌঁছাবে—এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।