আজ রোববার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের প্রতি চীন ‘অন্যায্য’ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, শিগগিরই এটি বন্ধ করার অনুরোধ করছে। চীনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বেইজিং।
যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার ৪০০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, যারা রাশিয়াকে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই তালিকায় বেশ কয়েকটি চীনা প্রতিষ্ঠানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
চীন থেকে রাশিয়ায় মাইক্রোইলেকট্রনিক্স এবং মেশিন টুল রপ্তানি করা প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশিত স্যাংশন ফ্যাক্টশিটে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হল সেই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো, যারা রাশিয়াকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে এবং পশ্চিমা বিধিনিষেধ এড়াতে সহায়তা করছে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রোববার এই পদক্ষেপকে ‘একপাক্ষিক বিধিনিষেধ’ হিসেবে বর্ণনা করে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতিমালা এবং প্রচলিত রীতির পরিপন্থী এবং বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকি সৃষ্টি করে বলে মন্তব্য করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ধারাবাহিকভাবে চীনকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা খাতে সহায়তা না করার জন্য সতর্ক করে আসছে। তবে চীন যুদ্ধের পক্ষপাতিত্ব না করার দাবি করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো কোনো পক্ষকেই প্রাণঘাতী পণ্য বা সেবা সরবরাহ না করার কথা জানিয়েছে। চীন রাশিয়ার একটি ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মিত্র হিসেবে পরিচিত, এবং ন্যাটো সদস্যরা বেইজিংকে এই সংঘাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ‘পক্ষ’ হিসেবে মনে করে।