মিসরের নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে জানা গেছে, গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত প্রচেষ্টা সাফল্য লাভের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই যুদ্ধের মেয়াদ এখন ১০ মাসেরও বেশি, এবং এখনও কোনো কার্যকর সমাধান পাওয়া যায়নি।
তবে, যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা আলোচনা সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন পক্ষ একটি চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নযোগ্য চুক্তির দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে আগ্রহী।’ তিনি জানান, আলোচনা পরিচালনাকারীরা ভবিষ্যতেও এই প্রক্রিয়ায় কাজ চালিয়ে যাবেন।
মার্কিন কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, যারা আলোচনা করেছেন, তারা কায়রোতে অবস্থান করবেন এবং বিষয়টির ওপর মনোযোগ দেবেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলার পর ইসরায়েলি সেনারা পাল্টা হামলা শুরু করে, যার ফলে গাজায় যুদ্ধের সূচনা হয়। বর্তমানে এই যুদ্ধ অবসানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় আলোচনা চলছে।
মিসরের সূত্রগুলো জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারীরা ফিলাডেলফি ও নেটজারিম করিডরে ইসরায়েলি বাহিনীর অবস্থানের বিকল্পগুলো তুলে ধরেন, কিন্তু কোন পক্ষই এতে সম্মত হয়নি। হামাস দাবি করেছে, ইসরায়েল বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে এবং মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে গাজা ছাড়ার শর্ত আরোপ করেছে।
হামাসের কর্মকর্তা ওসামা হামদান বলেছেন, তারা পূর্বে সম্মত আলোচনার শর্ত থেকে সরে আসতে রাজি নন। গত জুলাই মাসে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত আলোচনা প্রস্তাবে হামাস সম্মতি জানিয়েছিল।
আজ হামাসের একটি প্রতিনিধিদল কায়রো ত্যাগ করেছে। হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা ইজ্জত আল রশিদ বলেছেন, তারা একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের শর্তে যে কোনো সমঝোতা করতে প্রস্তুত।