নিহত তাওহীদ সন্ন্যামাত সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়ারভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি বিভিন্ন স্থানে রাজমিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, ১৯ জুলাই বিকেলে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা মোস্তফাপুর গোল চত্বর থেকে নতুন বাসস্ট্যান্ডের দিকে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। খাগদী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে তাঁদের উপর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালান। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়। হামলার মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে গুলিও ছোড়া হয়, যার ফলে তাওহীদ ও রোমান নামে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় গত শনিবার রোমানের স্ত্রী কাজল আক্তার ৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন, কিন্তু সেই মামলায় শেখ হাসিনা বা অন্য কোনো শীর্ষ নেতা আসামি ছিলেন না। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের দায়ী করে অভিযোগ করা হয়েছিল। এরপর গত রাতে কামরুল হাসান নামের এক ব্যক্তি নতুন করে একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা-কর্মীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মামলার অন্যতম আসামি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা দাবি করেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই মামলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘‘এ ঘটনায় আর কিছু বলার ভাষা নেই।’’
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, তাওহীদ সন্ন্যামাত হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে এবং পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি জানান, মামলাকারীর নিহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।