প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ২১, ২০২৫, ৮:৪৫ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ২৬, ২০২৪, ১২:৩৬ পি.এম
রুয়েটের দুই শিক্ষার্থীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া, মুচলেকা দিয়ে মুক্তি
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) দুই শিক্ষার্থীকে সম্প্রতি পুলিশে সোপর্দ করেছে হলের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। গত রোববার রাতে বঙ্গবন্ধু হলে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে তাঁদের হলের কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল।
অবরুদ্ধ দুই শিক্ষার্থী হলেন মাশরাফি মাহমুদ ও নাফিস সাদমান, যারা রুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র। মাশরাফি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে পরিচিত। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৫৩৭ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, ১৯ আগস্ট রুয়েটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চারটি আবাসিক হলে অভিযান চালায়। এই অভিযানে মাদকদ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। মাশরাফির কক্ষে মাদকদ্রব্য পাওয়া যাওয়ায় কক্ষটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। এরপর, গত রোববার সন্ধ্যায় জানা যায়, মাশরাফি হলের ৫৩৮ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছেন এবং তাঁর সঙ্গে নাফিস সাদমানও রয়েছেন। এ তথ্য জানার পর ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাঁদের অবরুদ্ধ করে রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালককে ডেকে শাস্তির দাবি জানান।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে তাঁদের মতিহার থানায় নিয়ে যায়। থানার সামনে রাতে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন এবং পুরকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপককে নাফিস সাদমানকে ছাড়াতে থানায় যান। এ ঘটনায় সেই অধ্যাপকের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন শিক্ষার্থীরা এবং মাশরাফি ও নাফিসের বহিষ্কারের দাবি জানান।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলাম সরকার বলেন, মাশরাফির কক্ষ সিলগালা করা হয়েছিল এবং শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে না জানিয়ে সেখানে অবস্থান করছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষার্থীরা মাশরাফিকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরবর্তীতে পুলিশ এসে তাঁদের থানায় নিয়ে যায়। রাতে দুই শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করার শর্তে থানায় মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন।
Copyright © 2025 Prime Vision 24. All rights reserved.