নাসরাল্লাহ রবিবার এক টেলিভিশন ভাষণে এসব কথা বলেন এবং দাবি করেন যে, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনা অনুযায়ী সফলভাবে হামলা চালিয়েছে।
গতকাল, ইসরায়েলি বাহিনী ও হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র পাল্টাপাল্টি হামলা হয়, যার ফলে লেবাননে তিনজন নিহত হন। সৃষ্ট পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ইসরায়েলে ৪৮ ঘণ্টার জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।
হিজবুল্লাহ জানায়, তারা গত জুলাই মাসের শেষ দিকে সংগঠনের কমান্ডার ফুয়াদ শোকরের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলে বিপুলসংখ্যক রকেট ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে এবং এতে ‘প্রথম পর্যায়ের’ হামলা সম্পন্ন হয়েছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করে যে, তারা হিজবুল্লাহর হামলার প্রস্তুতির তথ্য পেয়ে আগেভাগেই লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে, যেখানে অন্তত ১০০টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়।
হিজবুল্লাহ প্রধান নাসরাল্লাহ বলেন, হামলায় বেসামরিক নাগরিক বা অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না, তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরও তাদের লক্ষ্য ছিল না।
তার মতে, হিজবুল্লাহর প্রধান লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলি ভূখণ্ডের প্রায় ১১০ কিলোমিটার ভেতরে অবস্থিত একটি সামরিক গোয়েন্দা ঘাঁটি, যা তেল আবিব থেকে মাত্র ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
নাসরাল্লাহ জানান, হিজবুল্লাহ হামলার ফলাফল পর্যালোচনা করবে এবং যদি ফলাফল যথেষ্ট না হয়, তারা ভবিষ্যতে আরও হামলা চালাবে। তিনি জানান, হামলাকারী ড্রোন পাঠানোর আগে তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলের আয়রন ডোম প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করার কৌশল নিয়েছিল এবং ৩০০টির বেশি কাতিউশা রকেট সফলভাবে ছুড়ে দিয়েছে।
হিজবুল্লাহ প্রধান দাবি করেন, ইসরায়েলের আগাম হামলায় তাদের ড্রোন বা রকেট লঞ্চারের কোনো ক্ষতি হয়নি। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি বাহিনীর ভাষ্য অনুযায়ী, হিজবুল্লাহ বড় পরিসরের হামলার পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু নাসরাল্লাহ জানান, ইসরায়েলি ও আমেরিকান সামরিক তৎপরতার কারণে তারা প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে সময় নিয়েছেন।